গত শুক্রবার বার্ষিক বনভোজনের র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলেন ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে নিহত বৈশাখী টিভির প্রতিবেদক ফয়সাল আহমেদ। অতি মিশুক ও হাসিখুশি ফয়সালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সহকর্মীদের মাঝে। আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রত্যেকের ফেসবুকজুড়ে শুধুই ফয়সালকে নিয়ে স্মৃতিচারণ। এদিকে গতকাল বৈশাখী টিভি কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ফয়সালের মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। এ সময় প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এস আর এ রউফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শরীয়তপুরের সন্তান ফয়সাল আহমেদ বৈশাখী টেলিভিশনের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সংগ্রহ করতেন। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর খুলনা সফরের সংবাদ সংগ্রহ করেন।
৯ মার্চ শুক্রবার আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর বিটের রিপোর্টারদের আয়োজিত বার্ষিক বনভোজনে র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার ৪০ ইঞ্চি টিভি পান। কিন্তু সোমবার বিকাল থেকেই এই বিটে কর্মরত সংবাদকর্মীদের ওয়ালে ওয়ালে ছিলেন শুধুই ফয়সাল। এসএ টিভির মহসীন কবির তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘মাত্র তিন দিন আগেও র্যাফেল ড্র’তে হাস্যোজ্জ্বল ভাগ্যবান সহকর্মী/বন্ধু/ভাই ফয়সাল ৪০ ইঞ্চি সনি ব্রাভিয়া টিভি জিতেছিলেন। কিন্তু হেরে গেলেন জীবনের রাফেল ড্রতে। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসী করুন!’
প্রধানমন্ত্রীর বিটে কর্মরত বাংলানিউজের সিনিয়র রিপোর্টার মহিউদ্দিন মাহমুদ লিখেছেন, ‘কেমন আছি আর একবার জানতে চাইবেন না ফয়সাল ভাই? ২ মার্চের দুর্ঘটনার পর আমি তো আস্তে আস্তে সুস্থ হচ্ছি। কিন্তু আপনি কেন চলে গেলেন। বিটের আরেক সাংবাদিক সানজিদা জুথি ফয়সালের প্রজাপতি ধরার একটা ছবিসহ কয়েকটি ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘৯ মার্চ একসঙ্গে পিকনিক করে আসলাম, আর আজ এই স্বপ্নবাজ ছেলেটি আর নেই এটা মানতে পারছিনা,,,’। সাংবাদিক উৎপল দাস লিখেছেন, ‘প্রিয় ফয়সাল ভাই, আপনি তো টিভি দেখার দাওয়াত দিয়েছিলেন। কীভাবে টিভি দেখব, আপনি তো আর নাই... হে আল্লাহ আমার ভাইকে ভালো রেখো...’। ফয়সালের সঙ্গে একটি ছবি দিয়ে যুবলীগের শিক্ষা সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু লিখেছেন, ‘এই ছবি এখন শুধুই স্মৃতি। আমি তো সাংবাদিক নই, তাহলে সাংবাদিক ফয়সালের মৃত্যু সংবাদে আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরছে কেন? সৃষ্টিকর্তা ফয়সাল-কে বেহেশতবাসী করুন।’