বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

এবার নেপালের আকাশে ১ ঘণ্টা বিমান

জুলকার নাইন, ত্রিভুবন (কাঠমান্ডু) বিমানবন্দর থেকে

এবার বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটকে অবতরণের অনুমতি না দিয়ে আকাশে অপেক্ষায় রাখল কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট। ইউএস বাংলার ফ্লাইটের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার পর এটাই ছিল বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রথম ফ্লাইট। গতকাল বেলা ১১টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করা বিজি ০০৭১ ফ্লাইটটিতে ছিলেন বিমানমন্ত্রীসহ শতাধিক যাত্রী। দুর্ঘটনা পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন মন্ত্রী। ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনার খবর সংগ্রহের কাজে নেপাল আসা একদল সংবাদ কর্মী ছিলেন এই ফ্লাইটে। অন বোর্ড ইনফরমেশন অনুসারে, বিমানমন্ত্রীসহ বিজি ০০৭১ ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় গতকাল দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে অবতরণের জন্য ত্রিভুবন বিমানবন্দরের আকাশে পৌঁছায়। গন্তব্যস্থল থেকে মাত্র ৪৯ মাইল দূরত্বে থাকাকালীন ফ্লাইট এটেন্ডেন্ট নুসরাত জানান, কাঠমান্ডুর আকাশে ঝলমলে রোদ। কিন্তু ট্রাফিক কিউ থাকায় আমাদের ৩০ মিনিট পর বিমান অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার কন্ট্রোল টাওয়ারের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও ৩০ মিনিট অর্থাৎ এক ঘণ্টা পর অবতরণের কথা জানান ফ্লাইটের কো-পাইলট। এরপর হিমালয় পাদদেশের আকাশে উড়তে থাকে বিমান। উঠে যায় ২৫ হাজার ফুট উপরে। ঘুরতে থাকে ৫ হাজার, ১২ হাজার, ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায়। আধা ঘণ্টা পর তিন দফায় ঝাঁকুনি খায় বিমান। ফ্লাইট এটেন্ডেন্টের মাথায় এসে পড়ে আরেক যাত্রীর পানির বোতল। বিমানের ফ্লাইটটিতে থাকা নেপালের নাগরিক সুমিত বলেন, সোমবারের ঘটনার পর আজকের এই  পরিস্থিতিতে আমি সত্যি ভীত। মনে মনে প্রার্থনা করছি যেন ভালোভাবে পৌঁছতে পারি। পরে বাংলাদেশ সময় ২টা ৩ মিনিটে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়ে রানওয়ে স্পর্শ করে উড়োজাহাজ। ককপিট থেকে নেমে এসে যাত্রীদের ধন্যবাদ জানান পাইলট। আগের দিন সোমবার ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু গিয়ে সেখানকার আকাশে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অবতরণের অনুমতি না পেয়ে ঘুরতে থাকা ইউএস-বাংলার ফ্লাইটের দুই ইঞ্জিনের একটিতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখতে পান পাইলট। পরে তাকে নামার অনুমতি দিলেও ত্রিভুন বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে দেওয়া হয় ভুল তথ্য। ফলশ্রুতিতে প্রাণ হারান অর্ধশত যাত্রী ও ক্রু।

সর্বশেষ খবর