শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারদের কাছে যাচ্ছে সব পরামর্শ

ইসির সংলাপ

গোলাম রাব্বানী

রাজনৈতিক দল, স্টেকহোল্ডারদের কাছে যাচ্ছে সব পরামর্শ

একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত সংলাপে পাওয়া পরামর্শ যাচ্ছে রাজনৈতিক দলসহ সব স্টেকহোল্ডারের কাছে। সংলাপে পাঁচ শর বেশি পরামর্শ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে নির্বাচনী আইন সংস্কার, নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি, ভোটারদের নিরাপত্তা, নতুন দলের নিবন্ধন নিয়ে অনেক দলই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে। এসব পরামর্শ ইতিমধ্যে বই আকারে প্রকাশও করেছে কমিশন। তবে একই বিষয়ে একাধিক পরামর্শ আসায় কিছু বিষয় কাটছাঁট করা হয়েছে। তাই সংকলনে প্রায় ৪০০ পরামর্শ স্থান পেয়েছে বলে জানা গেছে। আগামীকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এই পরামর্শ সংকলন উপস্থাপন করা হবে। এরপর সিইসির অনুমোদনসাপেক্ষে তা রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ, সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, নারী নেত্রী, পর্যবেক্ষক সংস্থাসহ সব স্টেকহোল্ডারের কাছে পাঠানো হবে। নির্বাচন কমিশনকে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে করতে হবে একাদশ সংসদ নির্বাচন। অর্থাৎ আগামী ৮ থেকে ১১ মাসের মধ্যে সংসদ নির্বাচন। এজন্য অক্টোবরে চূড়ান্ত করা হবে ভোটের দিনক্ষণ। নভেম্বরের মাঝামাঝি হতে পারে তফসিল ঘোষণা। নির্বাচন কমিশনে অনুষ্ঠিত সংলাপে পাওয়া প্রস্তাব সামনে রেখে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে বিএনপিসহ কয়েকটি দল প্রস্তাব দিলেও তা নিয়ে মাথা ঘামাবে না ইসি। ইসির দায়িত্বের মধ্যে যেসব বিষয় পড়ে শুধু তা নিয়ে কাজ করছে ইসি। তাই সংলাপের পরামর্শের আলোকে নির্বাচনী আইন সংস্কার, সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, নতুন দলের নিবন্ধনসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট অনেক কাজে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যে নির্বাচনী আইনের প্রাথমিক খসড়ায় অনেক পরামর্শ সংযুক্ত করা হয়েছে। ইসি কর্মকর্তারা বলেন, নতুন কমিশন গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে সাতটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে সংলাপ করে কমিশন। সুশীলসমাজের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ৩১ জুলাই সংলাপ শুরু হয়। ২৪ অক্টোবর নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার মাধ্যমে যা শেষ হয়। সংলাপে সুশীলসমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রীদের প্রতিনিধি ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সাবেক সচিব, পুলিশের সাবেক আইজিসহ বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। এর আগে সংলাপ-পরামর্শের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, সংলাপে যেসব প্রস্তাব এসেছে তা রাজনৈতিক দল ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোয় পাঠানো হবে। ইসির পক্ষে যেগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব সেগুলো করা হবে। আর যেসব প্রস্তাব বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধনের বিষয় রয়েছে সেগুলো সরকারের ব্যাপার। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব এস এম আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনী সংলাপের পরামর্শগুলো বই আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। দ্রুত নির্বাচন কমিশনের কাছে তা উপস্থাপন করা হবে। এরপর কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর