শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুই দলেই তরুণ নেতারা এগিয়ে

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

দুই দলেই তরুণ নেতারা এগিয়ে

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তরুণ নেতারা আগামী সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে আছেন। আর জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো দল তেমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যেই লড়াই হবে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কছিম উদ্দিন এ আসনে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর আওয়ামী লীগের কেউই এমপি হতে পারেননি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম তালুকদার। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবদুল মোমিন তালুকদার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনছার আলী মৃধা। তিনি ভোট পান ৮৪ হাজার ২৭৬ ভোট। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম মওলা জামানত হারান। এবার  এই আসনটি আওয়ামী লীগ দখল করতে চায়। এ জন্য বেশ কয়েকজন নতুন মুখ মাঠে নেমেছেন। দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, দলের আদমদীঘি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, বগুড়ার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল মতিন, দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান সেলিম, অজয় কুমার সরকার। সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ২৫ বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। এসব অভিজ্ঞতা বড় পরিসরে প্রয়োগ করতে এমপি পদে প্রার্থী হতে চান। দলের মনোনয়নও প্রত্যাশা করছেন তিনি। এই আসনে বিএনপির রাজনীতির কর্ণধার দলের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মোমেন তালুকদার খোকা। তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ২০০১ ও ২০০৮ সালে এমপি নির্বাচিত হন। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়েছে সাবেক এই এমপির নামে। পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি পলাতক বহুদিন ধরে। তাকে নিয়ে হাইকমান্ডও চরম বিব্রত। এমন পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ অনেকটাই অনিশ্চিত। খোকার অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বেশ কয়েকজন নেতা এখন মাঠে নেমেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুদুল মুহিত তালুকদার, জেলা শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, জেলা বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মুক্তা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বগুড়া ইউনিটের সভাপতি শেখ মোকলেছুর রহমান। তবে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত গণসংযোগে হামিদুল হক চৌধুরী হিরু এগিয়ে আছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি সাবেক এমপি মোমেন তালুকদারের ভাই আদমদীঘি উপজেলার চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি আবদুল মহিত তালুকদারও মাঠে আছেন। সাবেক এমপি মোমেন প্রার্থী হতে না পারলে তার ভাই মহিত এই আসনে প্রার্থী হবেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে জাতীয় পার্টিও। এ আসনের বর্তমান এমপি নূরুল ইসলাম আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও স্থানীয় রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি তেমনভাবে সক্রিয় নয়। তারপরও এ আসনে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সামছুর রহমান, জেলা জাপার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তৌহিদ প্রার্থী হতে আগ্রহী।

সর্বশেষ খবর