মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

সংকটাপন্ন ক্যাপ্টেন আবিদের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম টপি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। গতকাল সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিট থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিমান দুর্ঘটনায় স্বামী নিহত হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আফসানা। এতে রবিবার ভোরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় তার। প্রথমে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিরাজী শফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে আরেকবার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হলে আবারও তার অপারেশন করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্র জানায়, তাকে ভেন্টিলেটর মেশিনের সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে অক্সিজেন দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস (হার্ট) চালু রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে এ ধরনের জটিল রোগীদের কৃত্রিম উপায়ে যতটুকু অক্সিজেন টানার কথা (শতকরা ৯০ ভাগ) সেই কাঙ্ক্ষিত মাত্রার অক্সিজেন টানতে পারছেন না তিনি। অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ ভাগের কমে ওঠানামা করছে। তার চোখের মণি বড় হয়ে আছে। ফলে তার মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ না করায় শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচিয়ে রাখা আদৌ সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন আইসিইউ চিকিৎসকরা। তারা জানান, এ ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে ব্রেন অকেজো, কিডনি বিকল ও প্রস াব বন্ধসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অচল হয়ে পড়ে। ‘মিরাকল’ না হলে বাঁচিয়ে রাখা বেশির ভাগ সময়েই সম্ভব হয় না, এটাই চরম সত্য ও বাস্তব কথা। গত ১২ মার্চ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট আবিদ সুলতানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও একদিন পরই চিকিৎসাধীন অবস্থান তিনি মারা যান।

সর্বশেষ খবর