শিরোনাম
শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের বছরে নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যের বিষয়টি জানান দিতে আজ ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের মহাসমাবেশে বৃহত্তম জমায়েতের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করতে চায় দলটি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ মহাসমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে দলীয় রোডম্যাপ ঘোষণা  করবেন। দেবেন রাজনীতিতে নতুন বার্তা। সকাল ১০টায় মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এতে সভাপতিত্ব করবেন। পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ শীর্ষ নেতারা বক্তৃতা করবেন। মহাসমাবেশ বর্ণাঢ্য করতে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। মঞ্চ নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। শাহবাগ থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক তোরণ। বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে মাঠ ও আশপাশের এলাকা। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবিসংবলিত ব্যানার, পোস্টার দিয়ে সমাবেশের চারপাশ সাজানো হয়েছে। উদ্যানের ঠিক মাঝখানে উত্তরমুখী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। প্রধান মঞ্চের কয়েক ফুট দূরেই রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ। মহাসমাবেশ সফল করতে দলের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেছেন, এবারের মহাসমাবেশটি অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এদিন ঢাকা থাকবে জাতীয় পার্টির দখলে। জাতীয় পার্টির শক্তি ও সামর্থ্যের বিষয়টিও জানান দেওয়া হবে এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে। তিনি বলেন, সমাবেশে পল্লীবন্ধু এরশাদ দেশের রাজধানীতে নতুন বার্তা দেবেন। এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্চ এলাকা পরিদর্শন করেন। এর আগে সমাবেশ সফল করতে বিকালে জাপা কাকরাইল কার্যালয়ে সর্বশেষ প্রস্তুতি সভা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টি। এতে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম রুবেল। প্রধান অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। মূল দল জাতীয় পার্টি ছাড়াও জাতীয় মহিলা পার্টি, শ্রমিক পার্টি, কৃষক পার্টি, যুব সংহতি, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, ছাত্র সমাজসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা জানান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তর ছাড়াও দোহার, নবাবগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁও, নরসিংদী, সাভার, ধামরাই, কালীগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী মহাসমাবেশে অংশ নেবেন। এ ছাড়া বরিশাল, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বাস, ট্রেন এবং লঞ্চে করে নেতা-কর্মীরা মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন।

মহাসমাবেশের দিন যাতে কোনো ধরনের নাশকতা না ঘটে এ জন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি পদক্ষেপ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জাতীয় পার্টির একাধিক নিজস্ব টিম নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করবে। এ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছুটে আসা নেতা-কর্মীদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় তা দেখভাল করার জন্যও একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর