রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

রপ্তানি হবে স্মার্টকার্ড

গোলাম রাব্বানী

রপ্তানি হবে স্মার্টকার্ড

দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হবে বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টকার্ড। তরুণদের কাজে লাগিয়ে বর্তমানে স্মার্টকার্ড দেশে তৈরি করা হচ্ছে। গত ২৭ আগস্ট থেকে এ কার্ড তৈরি শুরু হয়েছে। দেশে উৎপাদন করা স্মার্টকার্ড বর্তমানে জেলা পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন বিতরণ করছে। কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে। আগামীতে স্মার্টকার্ড রপ্তানির বিষয়টিকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভোটার তালিকা প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা উৎপাদনের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ কার্ড উৎপাদন করা হয়েছে। তারা বলেছেন, আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে নাগরিকদের সবার হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। 

এর আগে জেলায় পর্যায়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, দেশের তরুণদের কাজে লাগিয়ে স্মার্টকার্ড তৈরি করা হচ্ছে। ২৭ আগস্ট থেকে দেশে এ কার্ড তৈরি হচ্ছে। আগে বিদেশি সংস্থার (ফরাসি কোম্পানি অবার্থর) মাধ্যমে তা পরিচালিত হতো। বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিলের পর দেশের দক্ষ জনবল দিয়ে প্রতিদিন দেড় লাখ স্মার্টকার্ড উৎপাদন হচ্ছে; যা আগের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। এ উদ্যোগে দেশের তরুণ প্রজন্মের             প্রযুক্তি বিকাশের সুযোগ হচ্ছে। ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি টেকসই কার্যক্রম এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সম্মান বিবেচনায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গত ২৭ আগস্ট দেশীয় প্রযুক্তি, নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র উৎপাদন করছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও জনবল ব্যবহারের কারণে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। এতে অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি টেকসই সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট এবং নিজস্ব সক্ষমতাও অর্জিত হচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে শুধু বর্তমানে নিবন্ধিত ভোটাররাই নন ভবিষ্যৎ ভোটারদের জন্যও বাধাবিঘ্নহীনভাবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সব নিবন্ধিত নাগরিকের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে নির্বাচন কমিশন এসব উদ্যোগ নিয়েছে। ইসির কারিগরি কমিটির সদস্যরা বলছেন, বর্তমানে আমরা আমদানি করা ব্ল্যাঙ্ক স্মার্টকার্ডের পারসোনালাইজেশনের কাজ দেশীয়ভাবেই করছি। বিদেশ থেকে স্মার্টকার্ড আমদানি না করে সার্বিক নিরাপত্তা ও কার্ডের মান নিশ্চিত করে যৌক্তিক হারে মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে বিএমটিএফের মাধ্যমে কার্ড তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে। কমিটির সদস্যরা বলছেন, বিএমটিএফ ইতিমধ্যে ইভিএম, ভেহিক্যাল রেজিস্ট্রেশন প্লেট, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, আরএফআইডি ট্যাগ তৈরি করেছে। জানা গেছে, বিএমটিএফ ইতিমধ্যে নমুনা উপস্থাপন করেছে। তারা যাচাই করে দেখেছেন, দেশে উৎপাদন করলেও বিদ্যমান স্মার্টকার্ডের মতোই ‘সব ধরনের মান রক্ষা করা’ সম্ভব। এ ছাড়া বিএমটিএফের নমুনা কার্ডের বেন্ডিং টেস্ট, সিকিউরিটি ফিচারস, ইউভি রে টেস্ট, মাইক্রো টেস্ট, পার্সোনালাইজেশন এবং ডাইমেনশন ও পজিশনিং টেস্ট করেছেন তারা। বিদ্যমান স্মার্টকার্ডের ২৭টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট এ কার্ডেও রয়েছে।

সর্বশেষ খবর