রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

বিনা সরিষা চাষে কৃষকদের সাফল্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

বিনা সরিষা চাষে কৃষকদের সাফল্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে পুষ্টি নিরাপত্তার লক্ষ্যে জাত উদ্ভাবন কর্মসূচির অর্থায়নে উন্নতজাত বিনা-৪ সরিষা চাষ করে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। বর্তমানে দেশে ভোজ্য তেলের প্রায় সবটাই আমদানিনির্ভর তবে বিনা-৪ সরিষা চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভোজ্য তেল রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার আলমপুর গ্রামে বিনা পুষ্টি নিরাপত্তার লক্ষ্যে জাত উদ্ভাবন কর্মসূচির অর্থায়নে উন্নত জাতের বিনা-৪ সরিষা বপন করে সফলতা পেয়েছে এলাকার কৃষকরা। মৌসুমের আমন বোরো ফসলের অতিরিক্ত এই সরিষা উৎপাদন করে যেমন কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান তেমনি বর্তমানে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণও সম্ভব। বর্তমানে বছরে ১৮ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করে সরকারকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয়; তারপরও বাজারে যে ভোজ্য তেল পাওয়া যায় তাতে পাম অয়েল মিশানো থাকে। এদিকে উন্নত জাতের বিনা-৪ সরিষা আমন ও বোরো ফসলের মওসুম শেষে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে প্রতি হেক্টর জমিতে ৮০/৮৫ দিনে ১৫ থেকে ১৮ মণ বিনা-৪ সরিষার ফলন পাওয়া যায়। এতে দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে দাবি কৃষিবিদদের। কৃষকরা জানান, এ জাতের সরিষা চাষ করে একদিকে যেমন একটি উদ্বৃত্ত ফসল পাওয়া যায় তেমনি আর্থিকভাবেও লাভবান তারা। তাদের চাষ দেখে বিনা-৪ সরিষা চাষে অন্য কৃষকরাও এগিয়ে আসছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু নাছের জানান, উন্নত জাতের বিনা-৪ সরিষা বপণ করে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা। এই সরিষা উৎপাদন করে যেমন কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান তেমনি বর্তমানে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণও সম্ভব।

সর্বশেষ খবর