শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফয়সাল-নাজিয়ার লাশ ভুল শুধরে বাড়ির কবরে ফিরল

প্রতিদিন ডেস্ক

নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ ও সরকারি কর্মকর্তা নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর মরদেহ ভুল শুধরে নিয়ে আবার দাফন করা হয়েছে যার যার ঠিকানায়।

নেপাল থেকে তাদের কফিনবন্দি মরদেহ এনে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সময় ভুল করে অদল-বদল হয়ে গিয়েছিল। তাদের দাফন করা হয়েছিল ভুল ঠিকানায়। পরে স্বজনদের আবেদনে আদালত তাদের লাশ তুলে যার যার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়। খবর : বিডি নিউজ।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ফয়সালের গ্রামের বাড়িতে কবর থেকে নাজিয়ার লাশ তুলে হস্তান্তর করা হয় তার বড় ভাইয়ের কাছে। আর ঢাকা থেকে নিয়ে আসা ফয়সালের মরদেহ ডামুড্যার সরদার গার্ডেন বাসার সামনে ওই কবরেই শুইয়ে দেওয়া হয় বলে ডামুড্যা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু চন্দ্র মণ্ডল জানান। ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১ গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হলে ৫০ জনের মৃত্যু হয়। যাদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ডামুড্যা উপজেলার সিধলকুড়া গ্রামের সামসুদ্দিন সরদারের ছেলে আহমেদ ফয়সাল ছিলেন বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিবেদক। আর নাজিয়া আফরিন চৌধুরী ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান। নেপাল থেকে মরদেহ আসার পর কফিনবন্দি অবস্থায় বুঝিয়ে দেওয়া হয় স্বজনদের কাছে। ফয়সালের মরদেহ ডামুড্যায় নিয়ে ২০ মার্চ বাড়ির সামনে দাফন করা হয়। কিন্তু পরে কফিনের ট্যাগে নাজিয়ার দেখতে পান ফয়সালের স্বজনরা। নাজিয়ার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা ভুলের বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে পরিবারের আবেদনে বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান লাশ তুলে যার যার বাড়িতে নিয়ে দাফনের অনুমতি দেয়। এ বিষয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ডামুড্যা থানার পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ফয়সালের লাশ তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে নাজিয়ার লাশ তুলে ওই কবরেই ফয়সালকে দাফন করা হয়।

নাজিয়ার লাশ হস্তান্তর করা হয় তার বড় ভাই আলী আহম্মেদ চৌধুরীর কাছে। ডামুড্যার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আক্তার লাশ হস্তান্তরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আলী আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, ‘নেপালে কফিনে লাশ তোলার সময় ভুল করে একজনের লাশ অন্যজনের কফিনে দিয়ে দেওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর