শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
আইনজীবী রথীশ হত্যা

স্ত্রীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, কামরুল ১০ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যা মামলায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্ত্রী দীপা ভৌমিক। দীপার সহকর্মী শিক্ষক কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক আল আমিন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে রংপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেন দীপা ভৌমিক। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে দীপা ভৌমিক তার স্বামীকে হত্যার দায় এবং তার স্কুলের সহকর্মী কামরুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, দুই ছাত্র সবুজ ইসলাম  ও রোকনুজ্জামান তাদের জবানবন্দিতে শিক্ষক কামরুলের নির্দেশে তার ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি কক্ষে গর্ত খোঁড়ার কথা স্বীকার করেন। ওই গর্তেই রথীশের মাটিচাপা দেওয়া লাশ পাওয়া গিয়েছিল। আলাদাভাবে জবানবন্দি নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টায় দীপাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবুজ ও রোকনুজ্জামানকে যশোরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। বর্তমানে তারা কোতোয়ালি থানা হেফাজতে আছে। এর আগে রাত নয়টায় দীপা, কামরুল, সবুজ ও রোকনুজ্জামানকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে আনা হয়। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কামরুলকে ১০দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, রংপুরের তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপা ভৌমিক ও তার সহকর্মী কামরুল ইসলাম। দীপার সঙ্গে কামরুলের পরকীয়া ছিল দীর্ঘদিনের। গত সোমবার কামরুলকে এবং মঙ্গলবার রাতে দীপাকে গ্রেফতার করা হয়। রথীশচন্দ্র ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। সবুজ ও রোকনুজ্জামান একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। গত বুধবার রংপুরের র‌্যাব-১৩ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বাহিনীর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, পরকীয়ার জেরে দীপা ও কামরুল পরিকল্পিতভাবে ২৯ মার্চ রাতে চেতনানাশক বড়ি খাওয়ানোর পর নিজের শোবার ঘরে রথীশচন্দ্রকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে লাশ কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়িতে বালুচাপা দিয়ে রাখা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর