শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার দহাকুলায় এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে সদর উপজেলার দহাকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই স্বামী কাবিল ও ভাসুর হাবিলকে আটক করেছে পুলিশ। আহত গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)  শরিফুল ইসলাম জানান, যৌতুকের দাবিসহ নানা কারণে স্বামী কাবিল তার স্ত্রী আনোয়ারাকে প্রায়ই মারধর করত। গতকাল সকালে ভাত খাওয়া নিয়ে আবারও তার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এ সময় স্বামী ও ভাসুর তাকে বকাবকি করে। গৃহবধূ আনোয়ারা এর প্রতিবাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। পরে স্বামী কাবিল ও তার ভাই হাবিল আনোয়ারাকে বাড়ির উঠানে একটি আম গাছে বেঁধে লাঠি ও ঝাটা দিয়ে অমানুষিক মারধর করে। আনোয়ারার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে দুই ভাই কাবিল ও হাবিলের হুমকির মুখে উদ্ধার করতে সাহস পায়নি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ গৃহবধূকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বাঁধন খুলে তাকে মুক্ত করেন। এরপরই তাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুন সাংবাদিকদের জানান, ভাসুর হাবিলের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ষড়যন্ত্রে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এ ছাড়া যৌতুকের দাবিতে স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রায়ই নির্যাতন করত। সকালে স্বামীর সঙ্গে সাংসারিক বিষয়ে তর্ক হলে স্বামী ও ভাসুর গাছে বেঁধে মারপিট করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আক্তারুজ্জামান জানান, গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি ও ঝাটার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর