শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

ফরিদপুরের চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

ফরিদপুরের চরাঞ্চলে বাদামের বাম্পার ফলন

ফরিদপুরের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে বাদামের চাষ। চরাঞ্চলের পলিযুক্ত মাটিতে বাদামের ফলন ভালো হওয়ায় এবং কম খরচে বেশি লাভ থাকায় ক্রমেই  বাড়ছে বাদামের আবাদ। চরাঞ্চলের বালিতে অন্য কোনো ফসল না হওয়ায় কৃষক বাদাম চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ফরিদপুর জেলার তিনটি উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে বাদামের চাষ হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা বাদাম তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর চরাঞ্চলের প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। গত বছর বাদামের উৎপাদন হয়েছিল ১০ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর প্রায় ১৫ হাজার মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। চরভদ্রাসন উপজেলার বাদাম চাষি আকবর শেখ জানান, পদ্মা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলগুলোতে বাদাম আর ভুট্টা ছাড়া অন্য ফসল তেমন একটা হয় না।

 আর বেশির ভাগ সময় পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে সেখানে ফসল লাগানোর তেমন সুযোগই নেই। তবে বাদাম চাষের উপযোগী হচ্ছে চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ বালুচরের জমিগুলো। অল্প সময়ের মধ্যে বাদামের ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া ভালো দামও পাওয়া যায়।

 আরেক কৃষক নৈমুদ্দিন বেপারি জানান, বাদাম চাষে খরচ একেবারেই কম। আগে অনেকেই জমি পতিত রাখত। কিন্তু এখন এসব পতিত জমিতে বাদামের আবাদ করছে। বাদাম চাষি আফজাল মোল্লা জানান, এক বিঘা জমিতে বাদাম আবাদে খরচ হয়েছে ৭-৮ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বাদাম উৎপাদন হবে ১৫-১৬ মণ। যা বাজারে বিক্রি করলে পাওয়া যাবে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, সরকার বাদাম চাষের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষকদের মাঝে বাদাম চাষে প্রণোদনা দিয়ে আসছে। এ বছর জেলার সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ৬০০ কৃষকের মাঝে উন্নত জাতের বীজ এবং সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ফলে প্রতি বছরই বাদামের আবাদ বাড়ছে চরাঞ্চলগুলোতে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর