মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

এর নাম সড়ক!

বান্দরবান প্রতিনিধি

এর নাম সড়ক!

বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ১১ কিলোমিটার সড়কের বেহালদশার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ৩টি ওয়ার্ডের ১৫ হাজারের অধিক মানুষ। ইউনিয়নের সাপেরগাড়া হতে হারগাজা হয়ে পাগলির আগা দিয়ে ডুলাহাজারা সড়কটি ভেঙে বড় বড় গর্ত হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গাড়ি যাতায়াতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা আর মরছে মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উন্নয়নে বাধাসহ উৎপাদিত ফসল ও কাঁচামাল বাজারজাত করতে সমস্যায় পড়ছে কৃষকরা। বেহাল ১১ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে যেখানে সর্বোচ্চ সময় লাগার কথা ২৫-৩০ মিনিট সেখানে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগছে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে বলে জানান উপজেলার শীর্ষ কর্তারা।  সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ৬-৭ বছর আগে নির্মাণ করা ব্রিকসলিংয়ের এ সড়ক দিয়ে অতিমাত্রায় ভারী পাথর, বালু ও গাছের ট্রাক চলাচলের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে সড়কটি। কয়েক বছরের ব্যবধানে রাস্তায় ইটের চিহ্ন পর্যন্ত নেই। পাহাড়ি রাস্তার মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যাতে যাত্রীবাহী ছোট গাড়িগুলো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। শুষ্ক মৌসুমে অনেক স্থানে কাদামাটির গর্তে আটকে যাচ্ছে গাড়ি। বর্ষাকালে এই রোডে গাড়ি চলাচল একেবারে অসম্ভব বলে জানায় এই রোডের জিপগাড়ি ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন, সামশুল ইসলামসহ অনেকে।  স্থানীয় করিম মিয়া, আল আমিন, রাশেদ পারভেজ ও মনোয়ারা বেগমসহ অনেকে বলেন, বর্ষার ৬ মাস আমাদের পায়ে হেঁটে বাজারে যেতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে গাড়ি চললেও ভাঙা রাস্তার কারণে তা অপ্রতুল। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাপেরগাড়া, হারগাজা, পাগলির আগা ও বাইশারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১৫ হাজারের অধিক লোক এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এ ব্যাপারে আমরা পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার নাছির উদ্দিন ও ২ নম্বর ইউপি মেম্বার কুতুব উদ্দিন বলেন, রাস্তার চিহ্ন পর্যন্ত নেই। ভেঙে সব শেষ হয়ে গেছে। বিশেষ করে অতিমাত্রায় ভারী পাথর, বালু ও গাছের ট্রাক চলাচলের কারণে অতি অল্প সময়ে রোডটি নষ্ট হয়ে গেছে। এখনই মেরামত করা না হলে সামনের বর্ষায় গাড়ি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, ১৫ হাজার মানুষের ভাগ্যের কথা চিন্তা করে সাপেরগাড়া হতে হারগাজা হয়ে পাগলির আগা দিয়ে ডুলাহাজারা সড়কটি মেরামত অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, বিষয়টি নিয়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি দ্রুত রাস্তার মেরামত ও সংস্কারে এলজিইডি হতে ২ কোটি ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছেন। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ জান্নাত রুমি বলেন, আমি সদ্য এখানে যোগদান করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে উন্নয়ন কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।  

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর