শিরোনাম
সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

কাঁটাতারের দুই পাড়ে নববর্ষের মিলনমেলা

প্রতিদিন ডেস্ক

কাঁটাতারের দুই পাড়ে নববর্ষের মিলনমেলা

সীমান্তে দুই বাংলার মানুষ

ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় সীমান্তে গতকাল দুই বাংলার মিলনমেলা বসেছিল। কাঁটাতারের দুই পাড়ে হাজারো মানুষ এ দিন আনন্দ-বেদনায় একে-অপরের মাঝে ভাব বিনিময় করেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

ঠাকুরগাঁও : উৎসবমুখর পরিবেশে ঠাকুরগাঁওয়ের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দুই বাংলার মিলনমেলা। ভারতে বসবাসরত স্বজনদের এক নজর দেখতে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন বাংলাদেশি স্বজনরা। গতকাল বেলা ১১টায় বিএসএফের পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর হরিপুর দনগাঁ সীমান্তে কাঁটাতারের কাছে গিয়ে নিজ নিজ স্বজনদের দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় তারা সুখ-দুঃখের কথায় মেতে ওঠেন। আদান-প্রদান করেন খাদ্য এবং বস্ত্র। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে জমে ওঠে মিলনমেলা। এই মিলনকে ঘিরে জিনিসপত্র নিয়ে অস্থায়ী অর্ধশত দোকানপাটও পসরা সাজিয়ে বসে। হরিপুর উপজেলার ৫ নম্বর ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মংলা বলেন, এবার প্রথমবারের মতো বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ, টয়লেট ও বসার ব্যবস্থা করা হয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি, একদিনের জন্য হলেও সীমান্ত পাড়ে ব্যবসা বাণিজ্যের ব্যবস্থা করতে। হরিপুর উপজেলার বিওপি কমান্ডার আবদুস সেলিম জানান, মিলনমেলার ক্ষেত্রে বিএসএফ অত্যন্ত আন্তরিক ছিল।  বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মিলেছে।

পঞ্চগড় : প্রতিবছরের মতো এবারও নববর্ষ উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে দুই বাংলার মিলনমেলা বসে। কাঁটাতারের এপার-ওপারে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কয়েক মুহূর্ত সময় কাটানো আর সুখ-দুঃখের খবর নেওয়ার জন্য লাখো মানুষ ছুটে আসেন বিভিন্ন সীমান্তে। সকাল সাড়ে ১০টায় এই মিলনের কথা থাকলেও ভোর থেকে ছুটে আসতে থাকেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ আগের দিন এসে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অপেক্ষা করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় এক পলক দেখা করার অনুমতি মেলে তাদের। ফলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন সবাই। ভিড়ের ভিতর আত্মীয়-স্বজনকে খুঁজতে থাকেন তারা। আটোয়ারী উপজেলার নয়নব্রুজ এলাকার সুমিতা রানী (৪০) চোখের পানি মুছতে মুছতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বাবা-মা সবাই ভারতের জলপাইগুড়ির চাউলহাটি এলাকায় থাকেন। এই একটি দিনের জন্য অপেক্ষায় থাকি। এই দিনে আমার বাবা-মাকে এক পলক দেখতে পাই। এখানে যদি একটি সীমান্ত হাট হয়, তবে প্রায়ই বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে পারব।

দিনাজপুর : বৈশাখী আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।  গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে হিলি চেকপোস্ট শূন্যরেখায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়। এ সময় বিজিবি হিলি চেকপোস্ট কোম্পানি কমান্ডার আবু নাছের ভারতের ১৯৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারত হিলি ক্যাম্প কমান্ড্যান্ট ইন্সপেক্টর ওয়াজির চানের হাতে মিষ্টি তুলে দেন। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।

সর্বশেষ খবর