গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. মাসুদ ও সাইফুল ইসলামকে বাস থেকে নামিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর ১১ দিনেও তাদের সন্ধান মেলেনি। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-ফেনী সড়কের বড়পোল এলাকায় ৫ এপ্রিল রাতে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। মাসুদ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে ও সাইফুল হামছাদীর আলীপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তারা চট্টগ্রাম শহরের অক্সিজেন এলাকায় ব্যবসা করতেন। ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গতকাল দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিখোঁজদের পরিবার। তারা সুস্থাবস্থায় অপহূতদের ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লিখিত অভিযোগে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ফেনী সড়কের বড়পোলে পৌঁছলে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পাঁচ-ছয় ব্যক্তি বাসের গতিরোধ করে। এ সময় এই দুজনকে বাস থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। একই বাসে থাকা সুপারি ব্যবসায়ী আবদুল মোতালেবের মাধ্যমে ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পারেন। মোতালেব চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকার ব্যবসায়ী এবং একসঙ্গে তারা বাড়িতে আসার জন্য রওনা হন। পরে তাদের সন্ধান চেয়ে পরিবারের সদস্যরা নোয়াখালী, কুমিল্লা ও লক্ষ্মীপুরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বারবার গেছেন। বিষয়টি র্যাব-১১-এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ মাসুদের স্ত্রী আয়েশা ও সাইফুলের বাবা ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তারা সুস্থ অবস্থায় দ্রুত দুজনকে ফিরে পেতে চান। এ ঘটনায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে উভয় পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।