শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
দুই সিটিতে শুধুই ভোটের উত্তাপ

খুলনায় আপিল বোর্ডের মুখোমুখি দুই প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কেসিসি) আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় মনোনয়নপত্র বাতিলের আপিল শুনানি শেষে খালেকের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন আপিল বোর্ডের প্রধান ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া। হলফনামায় আয়ের তথ্য গোপনের অভিযোগে সোমবার খালেকের মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য আপিল করেছিলেন বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর করা তথ্য গোপনের অভিযোগ আমলে নেয়নি আপিল কর্তৃপক্ষ। আইনগত ভিত্তি ও নিয়ম মেনে অভিযোগ দাখিল না হওয়ায় শুনানির জন্য তা উপস্থাপন করা হয়নি বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকালে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০১৮-এর আপিল কর্তৃপক্ষ ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আপিল শুনানিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তার আইনজীবীদের মাধ্যমে সপক্ষের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। এ সময় অভিযোগকারী বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু আইনজীবীসহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী শুনানির সময় উভয় প্রার্থী তাদের পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী ও নগর কমিটির সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘তাদের (বিএনপির মেয়র প্রার্থী) যে অভিযোগ ছিল, সেই অভিযোগ খণ্ডন করার জন্য যে সব কাগজ সাবমিট করার দরকার ছিল, আমি সেগুলো করেছি। উনারা বিস্তারিত শুনেছেন, দুই পক্ষকে নিয়ে কথা বলেছেন। আমার কথা একটাই যারা এই অভিযোগ দেন, আসলে এই গুলো না করে জনগণের কাছে যেতে হবে। ১৫ তারিখে জনগণ যাকে ভোট দেবেন সেই মেয়র হবেন। অফিসে খোঁচাখুঁচিতে কোনো লাভ নেই।’ পরে একই স্থানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘উনি (তালুকদার আবদুল খালেক) যে ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট, সেই ব্যাংকের এমডি একটা সার্টিফিকেট দিয়েছে, যেটা অসম্পূর্ণ। এ ছাড়া নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির একজন কর্মকর্তা লিখিত দিয়েছেন—এখান থেকে তিনি কোনো অর্থ নেন না। এটি যথেষ্ট নয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সার্টিফিকেট অগ্রহণযোগ্য। ওই ব্যাংকের হিসাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রিটার্ন দেখতে হবে, যেটা আমাদের আইনজীবী এরই মধ্যে দাবি জানিয়েছেন।’

এদিকে আপিল শুনানি শেষে নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছেন ১৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। একই সঙ্গে আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন— ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. রাজা খান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুকুল শেখ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ পাটোয়ারী, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আসলাম হোসেন, সংরক্ষিত ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামীমা আরা পারভীন ইয়াসমীন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রমা রানী চক্রবর্তী, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রিনা রানী ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রোকেয়া ফারুক।

আর আপিলে বৈধতা পাওয়া প্রার্থীরা হলেন সাধারণ ১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শাহাজাহান সিরাজ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু আসালাত মোড়ল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবির, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোস্তফা হাওলাদার, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আজমল হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ফজলুর রহমান, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা ফরিদ আহমেদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. নূর ইসলাম শেখ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী এএনএম মঈনুল ইসলাম, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের জিএম আবদুর রব সজল।

সর্বশেষ খবর