শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

মধুর কণ্ঠের পাখি মৌটুসি

আলম শাইন

মধুর কণ্ঠের পাখি মৌটুসি

এই পাখির বাংলা নাম ‘বেগুনি গলা মৌটুসি’। ইংরেজি নাম পারপেল-থ্রোটেড সানবার্ড (Purple-throated Sunbird)। বৈজ্ঞানিক নাম Leptocoma sperata.

প্রাকৃতিক আবাসস্থল পাহাড়ি বনাঞ্চল ও ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এ ছাড়া অন্যান্য বনাঞ্চলে এদের কমবেশি বিচরণ রয়েছে। পুরুষ পাখির রয়েছে মনভোলানো রূপ। স্ত্রী পাখি তত সুশ্রী নয়, দেখতে ভিন্ন প্রজাতির মনে হয়। কণ্ঠস্বর সুমধুর। বার বার এ কণ্ঠ শুনতে ইচ্ছা করে। স্বভাবে চঞ্চল। স্থিরতা নেই। বেশির ভাগই একাকী বিচরণ করলেও প্রজনন মৌসুমে জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। বৈশ্বিক বিস্তৃতি বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন পর্যন্ত। এদের গড় দৈর্ঘ্য ৯-১০ সেন্টিমিটার। ওজন ৫.২-৭.৫ গ্রাম। স্ত্রী-পুরুষ পাখির চেহারায় বিস্তর ফারাক রয়েছে। পুরুষ পাখির মাথা ধাতব-সবুজ, ব্যাক ব্রাশের মতো লেপ্টানো পালক।

ঘাড় ও পিঠ গাঢ় লালচে খয়েরি। ডানা বাদামি-কালচে। লেজ কালচে, গোড়ার দিক সবুজ। গলা বেগুনি। বুক গাঢ় লাল। বুকের নিচ থেকে লেজতল পর্যন্ত সবুজাভ। শরীরের তুলনায় লেজ খাটো। অন্যদিকে স্ত্রী পাখির মাথা ও পিঠ ধূসর-জলপাই। ডানা ধূসর-বাদামি। লেজ খাটো ধূসর-কালো। বাদবাকি পুরুষ পাখির মতোই। পুরুষ পাখির ঠোঁট নীলাভ কালো, স্ত্রী পাখির শিং কালো। উভয়ের ঠোঁট লম্বা, কাস্তের মতো বাঁকানো। চোখ কালো। পুরুষ পাখির পা নীলাভ-কালো। স্ত্রী পাখির পা ধূসর-কালো। এদের প্রধান খাবার ফুলের মধু, ছোট পোকামাকড়, মাকড়সা ইত্যাদি। প্রজনন মৌসুম ফেব্রুয়ারি-মে। অঞ্চলভেদে প্রজনন মৌসুমের হেরফের রয়েছে। এদের বাসা নাশপাতি আকৃতির। গাছের তন্তু, শ্যাওলা, মাকড়সার জাল দিয়ে বাসা বানায়। ডিম পাড়ে ২টি। ফুটতে লাগে ১৪ থেকে ১৬ দিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর