রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ-জাপায় টানাপড়েন সুবিধাজনক অবস্থায় বিএনপি

আবদুল বারী, নীলফামারী

আওয়ামী লীগ-জাপায় টানাপড়েন সুবিধাজনক অবস্থায় বিএনপি

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নীলফামারী-৪ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মাঠে রয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেলা থাকলেও বিএনপি নির্ভার। কারণ বিএনপি জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী নেই এ আসনে।

নীলফামারী-৪ আসনে বিগত ১০টি নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রথম ও নবম সংসদে, বিএনপি দ্বিতীয়, ষষ্ঠ (১৫ ফেব্রুয়ারি) ও অষ্টম সংসদে, জাতীয় পার্টি  তৃতীয়, সপ্তম ও দশম সংসদে, ন্যাপ (মোজাফ্ফর) পঞ্চম সংসদে (আওয়ামী লীগের সমর্থনে) এবং চতুর্থ সংসদে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ মো. শওকত চৌধুরী। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর তার নির্বাচনী এলাকায় তার দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তবে এ আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।

এখানে আওয়ামী লীগের অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার টানা পাঁচবারের মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ২০০৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো. সিকান্দার আলী, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আখতার হোসেন বাদল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য আমেনা কোহিনূর আলম, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা মোখছেদুল মোমিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাফিউল করিম নাফা ও কর আইনজীবী আমিরুল ইসলাম আমির আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র মো. আমজাদ হোসেন সরকার ভজে, সাবেক মহিলা এমপি বিলকিছ ইসলাম এবং কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় হুইপ মো. শওকত চৌধুরী। তিনি জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক।

সর্বশেষ খবর