সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটে সরগরম দুই সিটি

খুলনায় কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় জাপা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ছাড় দিতে রাজি নয় জাতীয় পার্টি। দলের নেতা-কর্মীরা এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে মেয়র ও ১৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। অন্যদিকে ছাড় দেওয়া নিয়ে বিএনপি-জামায়াতও নিজেদের মধ্যে দর কষাকষি চালাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবার কঠোর সাংগঠনিক যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে মেয়র ও ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে শরিক           ১৪ দল নগরীর সংরক্ষিত (১০নং ওয়ার্ডে) কাউন্সিলর পদে সাম্যবাদী দলের নেতা এফ এম ইকবালের স্ত্রী হোসনেয়ারার পক্ষে সমর্থন দাবি করলেও আওয়ামী লীগ সেখানে লুত্ফুন নেছাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়। তবে এ নিয়ে জোটের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়নি। খুলনা মহানগর ও জেলা ১৪ দলের সদস্য সচিব জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করেছি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ওয়ার্ডে ১৪ দল একত্রিত হয়ে প্রচারণা চালাবে।’ তবে নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগকে ছাড় দেয়নি মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টি। দলের মেয়র প্রার্থী ও নগর কমিটির আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘খুলনার ১৭টি ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। আমাদের নেতা-কর্মীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় রয়েছেন। আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এককভাবেই নির্বাচন করছি।’ এদিকে বিএনপি নির্বাচনে শরিক ২০ দলের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করলেও এখনো প্রকাশ্যে তাদের পক্ষে মাঠে নামেনি জামায়াত। তারা দলের প্রার্থী ৩১নং ওয়ার্ডে শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, ১৯নং ওয়ার্ডে মনিরুল ইসলাম পান্না, ১২নং ওয়ার্ডে মাস্টার শফিকুল আলম, ৩নং ওয়ার্ডে সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া ও ১নং ওয়ার্ডে আজিজুর রহমান স্বপনের পক্ষে বিএনপির সমর্থন দাবি করেছে। নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মো. শাহআলম বলেন, ‘১৯৯৪ সালে খুলনা সিটি নির্বাচনে জামায়াতের একক মেয়র প্রার্থী হিসেবে গোলাম পরওয়ার প্রায় ২৮ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। ২৪ বছরে দলীয় ভোট আরও অনেক বেড়েছে। আমরা ৫টি ওয়ার্ডে জামায়াতের কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে বিএনপিকে বলেছি। তারা ওই পাঁচজনকে সমর্থন দিলে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে আমরা বিএনপির সঙ্গে থাকব। পাশাপাশি জামায়াতের ভোটব্যাংক দিয়ে বিএনপিকে সহায়তা করব। তবে বিএনপি এখনো ওইসব ওয়ার্ডে জামায়াতের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি।’

দুই মেয়র প্রার্থীকে নোটিস : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস দিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার। গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে এই নোটিস দেওয়া হয়। নির্বাচনী আচরণ বিধি-৫ অনুসারে প্রতীক বরাদ্দের আগেই এই দুই মেয়র প্রার্থী প্রতীকের ছবি প্রদর্শন করে প্রচারণা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

রিটার্নিং অফিসার ও খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতীকের ছবিসহ দুই মেয়র প্রার্থীর প্রচারণার খবর ছাপা হয়েছে। যা আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ কারণে দুই মেয়র প্রার্থীর কাছে কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আজ বিকাল ৪টার মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর