সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটে সরগরম দুই সিটি

গাজীপুরে ইসির হুঁশিয়ারি

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর অবাধ প্রচারণা এবং ভোটারদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে। তিনি বলেন,  নির্বাচনে কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও হলফনামায় তথ্য গোপন করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল গাজীপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সমন্বয় কমিটির সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে ওই সমন্বয় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মণ্ডল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব (দায়িত্বপ্রাপ্ত) খ ম কবিরুল ইসলাম, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, র‌্যাব-১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানির কমান্ডার আবদুস সালাম প্রমুখ। নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দেশের প্রতিটি নির্বাচন, সেটা ছোট হোক, বড় হোক, যেন আইনানুগভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন হয়েছে আমাদের শপথ গ্রহণ করার পরেই। সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে সর্বশেষ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনও ন্যূনতম রংপুর সিটি নির্বাচনের চাইতে যদি ভালো না-ও হয়, তার চেয়ে খারাপ হবে না। আমাদের সবার প্রচেষ্টা থাকবে যেন গাজীপুর সিটি নির্বাচন আইনানুগ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। নির্বাচন কমিশনার বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে সমন্বয় কমিটি গঠন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ শুরু করে দিয়েছে। এখন ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিটি করপোরেশন এলাকায় কাজ করছেন। ২৪ এপ্রিল থেকে আরো ১৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে যুক্ত হবেন। ১৩ মে ভোটের দুই দিন আগে থেকে আরো ৩৮ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে ১৯টি টিম নির্বাচনী এলাকায় কাজ করবে। কোনো প্রার্থী আইনের ব্যত্যয় ঘটালে সেখানে যতটুকু আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন হয়, সেটা নেওয়া হবে। নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার চূড়ান্ত হয়নি। খুব সম্ভব আমরা একটা বা দুইটা ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহারের চেষ্টা করব। আর সীমিত সংখ্যক কেন্দ্রকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ইচ্ছা আছে। প্রতিটি কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জাসদ অনড় : ১৪ দলীয় জোট আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন করলেও নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন জাসদ (ইনু) গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি ও দলীয় মেয়র প্রার্থী রাশেদুল হাসান রানা। গতকাল নগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে তিনি থাকবেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৪ দল ও জাসদের সমর্থন তিনি প্রত্যাশা করেন।

বিএনপির পাশে জামায়াত : বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর এস এম সানাউল্লাহ। গতকাল টঙ্গীতে হাসান উদ্দিন সরকারের বাসভবনে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাক্ষাৎ করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। প্রতিক্রিয়ায় হাসান উদ্দিন সরকার জানান, জামায়াতের সমর্থনে বিশদলীয় জোটের ঐক্য আরও সুদৃঢ় হলো। ভোটারদের বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর