সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

আউয়াল পদ হারানোয় আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস, শরিক দল নিয়ে চিন্তিত বিএনপি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

আউয়াল পদ হারানোয় আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস, শরিক দল নিয়ে চিন্তিত বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। এ আসনের এমপি এম এ আউয়ালকে মহাজোটের শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব পদ থেকে সম্প্রতি অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এ কারণে চাঙ্গাভাব বিরাজ করছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য এরই মধ্যে একাধিক প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। পিছিয়ে নেই বিএনপিও। আসন পুনরুদ্ধারে তারাও মাঠে রয়েছেন। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের শরিকদল এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম এ আসনে মনোনয়ন চাচ্ছেন। এ নিয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা চিন্তিত।

অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অবস্থান এখানে তেমন নেই বললেই চলে। তবুও  প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা আছে জাতীয় পার্টি, জেএসডি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের শরিকদল হিসেবে তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়ালকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এখানে তরিকতের অবস্থান তেমন না থাকলেও নৌকার ওপর ভর করে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে বিএনপি। দলের একাধিক প্রার্থী বিভিন্নভাবে নিজেদের অবস্থান সৃষ্টিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে আলোচনায় রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সফিকুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক এম এ মমিন পাটওয়ারী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁন। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনির আহমদ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কমিশনার হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা ইমাম হোসেন ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন,  জেএসডির  কেন্দ্রীয় ভাইস  প্রেসিডেন্ট ও সাবেক এমপি এম এ গোফরান এবং ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সহসভাপতি ডা. রফিক উল্যাহও মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে এম এ আউয়াল বলেন, আগামীতেও শেখ হাসিনা চাইলে জোটগতভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার  ইচ্ছা আছে। আওয়ামী লীগের নেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে দলীয় এমপি না পাওয়ায় ৯৯ শতাংশ কর্মী সমর্থক হতাশায় রয়েছে। সৎ ও যোগ্য একজন প্রার্থী চায় জনগণ। ৯১ সালে স্বতন্ত্র ভোট করে মাত্র ৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির কাছে পরাজিত হই। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হলেও তা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন  নিজের কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছি। বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২৪ হাজার ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। আগামীতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট হলে দুই লাখ ভোট পেয়ে বিজয়ী হব। এলডিপি নেতা সাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, জোটগত কারণে বিএনপির হাইকমান্ড আমাকে মনোনয়ন দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সর্বশেষ খবর