নিজের রক্ত ঝরিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা রুখে দিয়েছেন এক তরুণী। নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে গিয়ে ওই তরুণী নাক, মুখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। ভুক্তভোগী ওই তরুণী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রবিবার রাতে পটিয়া থানার বড়উঠান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী গ্রামে। পেশায় গার্মেন্ট শ্রমিক। চাকরির সুবাদে তিনি পটিয়া থানাধীন বড়উঠানের ঈদগা এলাকায় মামার বাড়িতে থাকেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, রবিবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণীকে হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষায় তরুণীটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ধর্ষণ প্রতিরোধ করতে গিয়ে তরুণীটির মুখে, ঘাড়ে, গলায় রক্তাক্ত জখমের সৃষ্টি হয়। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভিকটিমের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই তরুণী পশ্চিম পটিয়ার কলেজ বাজার এলাকার একটি গার্মেন্টের শ্রমিক। রবিবার কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় ওত পেতে থাকা দুই যুবক তাকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। মেয়েটি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের সেই চেষ্টা সফল হতে দেয়নি। তবে ধর্ষণচেষ্টা প্রতিরোধ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন তরুণীটি। প্রতিদিন সর্বোচ্চ রাত ৯টার মধ্যে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরেন ওই তরুণী। কিন্তু রবিবার ১০টায়ও বাড়ি না ফেরায় মেয়েটির হবু বর ও পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। স্বজনরা তার সন্ধানে বের হয়ে বাড়ির অদূরে রাস্তার ধারে ঝোপে মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান। কাছে যেতেই দেখেন দুই যুবক দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপর তরুণীকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করান তারা।
