শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

টানা ছুটিতে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা, টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদ নয়। তবে ঈদের মতোই ছুটির আমেজ রাজধানীতে। ৭ দিনের ছুটিতে ঢাকাবাসী ছুটছে গ্রামে। মে দিবস, শবে বরাতসহ শুক্র-শনিবারের সরকারি মিলিয়ে এ ছুটি পেয়েছেন সবাই। ফলে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে ব্যস্ত নগরী ঢাকা। গতকালই চোখে পড়েনি নিত্যকার চিরচেনা যানজট। সড়কে গাড়ির জট না থাকলেও রাজধানীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশনগুলোতে ছিল ব্যাপক ভিড়। ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরার এই স্রোতে গতকাল যাত্রীবাহী যানবাহনের টিকিট সংকটও দেখা গেছে। গতকাল সকালে বিভিন্ন স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে দুই দিনের কোনো টিকিট নেই। বিমান যাত্রীদেরও একই অবস্থা। ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার বিমানের টিকিট পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার থেকেই টিকিট সংকট ছিল। বৃহস্পতিবার এসে অনেকেই টিকিট না পেয়ে ফিরে গেছেন। জানা গেছে, গতকাল ২৭ এপ্রিল থেকে ৫ মের মধ্যে মাত্র দুই দিন অফিস খোলা। বাকি সাত দিন ছুটি কাটাবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি, ২৯ এপ্রিল রবিবার বুদ্ধপূর্ণিমার সরকারি ছুটিতে অন্যান্য অফিস খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। ৩০ এপ্রিল সোমবার অফিস খোলা। ১ মে মঙ্গলবার মহান মে দিবস। পরদিন ২ মে বুধবার পবিত্র শবে বরাতের ছুটি। ৩ মে বৃহস্পতিবার অফিস খোলা। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল আর ৩ মে এই দুই দিন ছুটি নিলেই ৯ দিন ছুটি উপভোগ করার সুযোগ মিলতে পারে। এ কারণে গতকাল সকাল নাগাদ ঢাকার বেশির ভাগ রাজপথই তুলনামূলকভাবে ফাঁকা হয়ে যায়। যেসব বিপণিবিতানের সামনে ব্যাপক ভিড় থাকে, তাও চোখে পড়েনি। রাজধানীর অন্যান্য সড়কেও যানবাহনের ভিড় ছিল অনেক কম। রাজধানীর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ভিড়ভাট্টার বিপত্তি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন। মতিঝিল, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ী কিংবা মহাখালী কোথাও গাড়ি থেমে থাকতে দেখা যায়নি। গুলিস্তানের চিরচেনা যানজট নিয়ে কারও কোনো বিরক্তি দেখা যায়নি। কারণ ছুটির আমেজে গুলিস্তানও ছিল ফাঁকা। মিরপুর ৬, ১১, ১০, ১৩ ও ১৪ নম্বর ও ভাসানটেক এলাকায় অন্যান্য দিন রাস্তায় অনেক গাড়ি থাকে। কিন্তু গতকাল সে চিত্র ছিল না। রাস্তায় গণপরিবহনের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও কম দেখা গেছে। ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট, শাহবাগেও তেমন একটা ভিড় নেই। সদরঘাট ঘুরে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে। সবাই ছুটে চলছে গ্রামের পানে। সব লঞ্চে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে ঈদের মতোই।

সর্বশেষ খবর