মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
উৎসবমুখর দুই সিটি

গাজীপুরে একমঞ্চে সাত মেয়র প্রার্থী

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

গাজীপুরে একমঞ্চে সাত মেয়র প্রার্থী

গাজীপুরে গতকাল একই মঞ্চে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মেয়র প্রার্থীরা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) আমন্ত্রণে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের জন্য সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বী একই মঞ্চে দাঁড়িয়েছেন। তারা একে অপরের হাত ধরে নগরীর উন্নয়ন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত মহানগর গড়ার পাশাপাশি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে

সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেয়র প্রার্থীরা হলেন— আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির মো. হাসান উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন, ইসলামী ঐক্যজোটের ফজলুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের জালাল উদ্দিন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নাসির উদ্দিন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টার সাত মেয়রপ্রার্থী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় নিয়োজিত নাগরিক ও প্রার্থী কর্মী-সমর্থকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। সুজনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি মনিরুল ইসলাম রাজীবের সভাপতিত্বে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়রপ্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। আরও উপস্থিত ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ সরকার, সুজন গাজীপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সজিব। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নাগরিকরা তাদের বিভিন্ন ধরনের নাগরিক সমস্যার কথা প্রার্থীদের কাছে তুলে ধরেন। নগরীতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থায় জলাবদ্ধতা, যানজট, ভাঙাচুরা সড়ক, চুরি, ছিনতাই, সন্ত্রাস ও মাদক প্রতিরোধে প্রার্থীদের করণীয় বিষয়ে নাগরিকরা জানতে চান। এ ছাড়াও কওমি মাদ্রাসার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি, তিন ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করেও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অবহেলার শিকার হওয়ায় নারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে লটারির মাধ্যমে মেয়র প্রার্থীরা পাঁচ মিনিট করে কথা বলার সুযোগ পান। এ সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দূরত্বের কারণে নগরীতে বিগত দিনে উন্নয়ন হয়নি। ইতিমধ্যে তিনি চায়না ও জাপানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গাজীপুর নগর উন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যান করেছেন বলে জানান। এ ছাড়া ঢাকা এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে গাজীপুর মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ১৭৫ ফুট প্রশস্ত হাইওয়ে সড়ক করার পরিকল্পনা, নগরীতে জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসনসহ মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত গাজীপুর মহানগর গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। মহানগরকে পাঁচটি জোনে ভাগ করে নিম্ন আয়ের গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য তিনি ৮টি আবাসিক জোন গড়ে তোলারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, স্থানীয় সরকারের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে বর্তমান মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান নগরীর উন্নয়ন করতে পারেননি। মান্নানকে চক্রান্ত করে কারাগারে রেখে নগরবাসীকে উন্নয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে। যে-ই মেয়র প্রার্থী নির্বাচিত হোক তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে নগরীর উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান করবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নাগরিকরা প্রত্যেক মেয়র প্রার্থীকে তিনটি করে প্রশ্ন করার সুযোগ পান।

সর্বশেষ খবর