মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

বিশ্বনাথে চার তরুণের কৃষিতে সফলতা

সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ (সিলেট)

বিশ্বনাথে চার তরুণের কৃষিতে সফলতা

লন্ডনের প্রবাস জীবনের হাতছানি উপেক্ষা করে দেশেই কৃষিতে সাফল্য এনেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চার তরুণ। ধান, ক্যাপসিকাম, নাগামরিচ, ব্রকলি, বেগুন, টমেটো, লাউসহ বিভিন্ন জাতের সবজির সফল চাষি এখন তারা। সাফল্যের স্বীকৃতি ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক’ও পেয়েছেন একজন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় তাদের পথ ধরেই কৃষিতে ঝুঁকছেন শিক্ষিত তরুণরা। জানা গেছে, উপজেলার রামধানা গ্রামের বেলাল আহমদ ইমরান (৩২) পড়ালেখা শেষে কৃষিতে মনোযোগ দেন। প্রথমে বাড়ির পুকুরে শিং-মাগুর চাষে সফল হন তিনি। এ জন্য ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক’ দেন। পরে আরও দ্বিগুণ উৎসাহে সাফল্য আনেন ক্যাপসিকাম ও নাগামরিচ চাষেও। নিজে সফল হয়ে থেমে থাকেননি। সফল্যের এ পথে নিয়ে আসেন তার তিন বন্ধুকেও। তারা হলেন উপজেলার আলাপুর গ্রামের জাবের হোসেন (২৯), বিশ্বনাথের গঁওি’র কয়ছর আহমদ (২৮) ও দৌলতপুরের নিজাম উদ্দিন (৩০)। বেলালের সার্বিক সহযোগিতায় তারা এখন সফল সবজি চাষি। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বেলাল এবার তার আধা বিঘা জমিতে ২ হাজার ৩০০ ক্যাপসিকাম রোপণ করেছেন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তার খেতে রয়েছে ৯ হাজার নাগামরিচের চারা। এ থেকে খরচ বাদে ৩ লাখ টাকা আয়ের টার্গেট রয়েছে তার। আলাপুর গ্রামের জাবের ৮ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন ক্যাপসিকাম, নাগামরিচ, ব্রকলি, বেগুন, টমেটো ও লাউ। বিশ্বনাথের গাঁও গ্রামে কয়ছর ২১ শতাংশ জমিতে করেছেন ক্যাপসিকাম। দৌলতপুর গ্রামের নিজাম চাষ করেছেন ৪২৫ টি নাগামরিচের চারা।  বেলালের কৃষক বন্ধুরা জানালেন, বেলাল ভাই আমাদের পথ দেখিয়েছেন। তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় আমরা সবজি চাষ শুরু করি। এ পর্যন্ত খরচ উঠে আমরা লাভেই রয়েছি। বেলাল আহমদ ইমরান বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১০০ ভালো কৃষক তৈরি করা; যারা কৃষি কাজ করে বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে। এ বিষয়ে কথা হলে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যান তত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের তরুণরাও যে আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কৃষিতে ঝুঁকছে, এটা আশার খবর। সিলেট অঞ্চলে বেড়ে যাচ্ছে সবজির চাষ। কৃষিতে ভালো করছেন ওই চার তরুণ। তাদের পথ ধরে অন্য যুবকরাও এগিয়ে এলে কৃষিতে সমৃদ্ধ হবে দেশ।

সর্বশেষ খবর