চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় যুবলীগ নেতা আবুল হাশেমের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা দুর্ঘটনা ছিল না, বরং তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। খবর : বিডিনিউজ’র।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার (সদর) রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘এটা আগুনে পুড়ে মৃত্যু নয়, হত্যা। এ ঘটনায় শনিবার জিফু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ গ্রেফতার জিফু বেগম (৩৫) ওই এলাকারই বাসিন্দা। হাশেমের সঙ্গে তার ‘পরকীয়া’ ছিল, কিন্তু নানাভাবে ‘হয়রানির শিকার’ হয়ে এই যুবলীগ নেতাকে তিনি হত্যা করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন। রাঙ্গুনিয়া পৌর সদরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইছামতি এলাকার একটি বাসা থেকে গত শুক্রবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আবুল হাশেম বাচার (৫০) পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় পুলিশ বলেছিল, ঘরে থাকা একটি সিলিন্ডার থেকে বের হওয়া গ্যাস জমে যাওয়ায় সেখানে আগুন লেগে যায় বলে প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করেছে। থানার ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া সেদিন বলেছিলেন, ‘হাশেমের পুরো শরীর ছিল পোড়া। ঘরের ভিতরে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সেখান থেকে গ্যাসও বের হচ্ছিল। শোবার ঘরে কোনো জানালা না থাকায় ধোঁয়া জমে ছিল। ঘরের আসবাবপত্রও পুড়ে গেছে।’ একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘জিফু বেগম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাশেমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জুসের সঙ্গে তিনি হাশেমকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর সিলিন্ডার খুলে দিয়ে আগুন লাগানোর ব্যবস্থা করে ওই বাসা থেকে চলে যান।’
