মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
কেমন বাজেট চাই

শিল্প-রপ্তানি খাতে অগ্রাধিকার প্রয়োজন

—মীর নাসির হোসেন

রুহুল আমিন রাসেল

শিল্প-রপ্তানি খাতে অগ্রাধিকার প্রয়োজন

দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে শিল্প ও রপ্তানি খাতে অগ্রাধিকার চান ব্যবসায়ী— শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। তিনি আগামী বাজেটে শিল্প খাতের প্রতিবন্ধকতাগুলো ও অবকাঠামো সংকটের সমাধান চান। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে মীর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দেশের শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তা মীর নাসির হোসেন আরও বলেন, আগামী বাজেট হওয়া উচিত শিল্প ও রপ্তানিমুখী। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে উন্নীত হয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে আমাদের পূর্ণাঙ্গভাবে উন্নয়নশীল দেশে যেতে হবে। সেই পর্যন্ত যেতে হলে আমাদের যে স্থিতিশীলতার মধ্যে যেতে হবে, তার জন্য দরকার বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি বহুমুখীকরণ। এটা অর্জনে যে সব সহায়তা প্রয়োজন, তা বাজেটে চাই।  তিনি বলেন, ইতিমধ্যে গ্যাস সমস্যার সমাধানের পথ কিছুটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এলএনজি আমদানি হয়েছে। এটা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন হবে। আশা করছি শিল্পায়নে একটা উন্নতি হবে। এর পাশাপাশি শিল্পের যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা আগামী বাজেটে দূর করতে হবে।  অবকাঠামো সংকটের সমাধান চেয়ে এফবিসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। বাল্ক জাহাজ আসলে তার কন্টেইনার লাইটার জাহাজে ওঠাতে প্রচুর সময় লাগে। এমন অনেক সমস্যা রয়েছে, তার সুরাহা প্রয়োজন। পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে সংযোগ যত দ্রুত উন্নতি করা যায়, ততই মঙ্গল। এর জন্য বাজেটে দিকনির্দেশনা থাকা দরকার।  মীর নাসির বলেন, সরকারের রাজস্ব আহরণের প্রচেষ্টা বাড়ানো দরকার। কর আদায়ের বড় প্রতিবন্ধকতা হলেও, পরিধি বাড়ানো হয়নি। করজাল কার্যকারভাবে বাড়ানো হয়নি। ফলে স্বল্প সংখ্যক করদাতার ওপর চাপ বাড়ছে। এই করজাল বাড়ানোর জন্য কার্যকর ব্যবস্থা বাজেটে নিতে হবে। একই সঙ্গে করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে মানুষ কর দিতে উৎসাহিত হয় এবং যারা কর দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছেন, তারা করের আওতায় আসেন। তারা এলে কর প্রবৃদ্ধি বাড়বে। ফলে বাজেটের অর্থায়নে সমস্যার সমাধান হবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপি বাস্তবায়নের ওপর সরকারের নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর নির্ভর করছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দেশের প্রত্যাশিত উন্নয়ন। এডিপি দ্রুত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে, সুফল আমরা পাব। সে জন্য সরকারের উন্নয়ন প্রশাসনের ভিতর আরও দক্ষতা বাড়াতে হবে। দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে নিজেদের উত্তরণ ঘটাতে হবে। এই বিষয়গুলোর ওপর এডিপি বাস্তবায়ন নির্ভর করছে।

সর্বশেষ খবর