মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

সময় নিয়েছেন বাচ্চু, নথি দেননি ডিআইজি মিজান

নিজস্ব প্রতিবেদক

সময় নিয়েছেন বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু। তাকে ওই ব্যাংকটির ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গতকাল পঞ্চম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল। এর আগে তাকে পাঁচবার জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। গতকাল নতুন আবেদনে বাচ্চু এক মাস সময় চান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ মে সকাল ১০টায় তাকে হাজির থাকার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানের দুদকের অনুসন্ধান দলের কাছে সম্পদের কিছু নথিপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে দুদক। এ বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ে ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এসব নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এক নারী সংবাদ পাঠককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মিজানের বিরুদ্ধে। পরে তাকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ৩ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মিজানকে সাত ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। সে সময়ই তাকে ৭ মের মধ্যে নিজের অর্জিত সম্পদের পক্ষে কিছু নথিপত্র হাজির করতে বলা হয়। দুদক সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, দুদকের অনুসন্ধানের জন্য কিছু নথি ৭ মের মধ্যে দুদকে নিয়ে আসার কথা ছিল ডিআইজি মিজানের। কিন্তু তিনি ৭ মের মধ্যে তা জমা দেননি। এ কারণে দুদক আইনের ১৯/৩ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে। ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চপদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নানা উপায়ে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে দুদকের হাতে। সেসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক। মিজানের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্তও চলমান আছে।

সর্বশেষ খবর