মঙ্গলবার, ৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুন

সন্দেহের তীর ভাই বোনদের দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী শাহানা আলম বিউটি খুনে সন্দেহের তীর ভাই ও বোনদের দিকে। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে। বিউটির সঙ্গে তার ভাই কামরুল ও বোন রোকসানার দ্বন্দ্ব ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেলিমুজ্জামান জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা বলেই মনে হয়েছে। নিহতের স্বামী তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পৈতৃক সম্পদের বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে। বিউটির ছোট ভাই কামরুল আলম খান বাবু, ছোট বোন রোকসানা আলম খান ঋতু ও তার স্বামী রইছ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই বাসায় থাকতেন ঋতু ও তার স্বামী-সন্তান। রবিবার রাতে বিউটির স্বামী পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামাল হোসেন দারুসসালাম থানায় মামলা করেছেন। এতে কাউকে সরাসরি অভিযুক্ত না করলেও ওই তিনজনের নাম রয়েছে। জানা গেছে, বিউটিকে যে বাড়িতে হত্যা করা হয়েছে সেটি জেলা পরিষদের (সরকারি) জমি ইজারা নিয়ে তৈরি করেন তার বাবা শামসুল আলম খান। প্রায় ৮০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। সম্প্রতি তিনি ছোট মেয়ে রোকসানা আলম খান ঋতুর নামে জমিটির ইজারার মালিকানা স্থানান্তর করেন। তিন-চার মাস ধরে বিউটি ওই বাড়ির একটি কক্ষে থাকা শুরু করেন। তাদের একমাত্র ভাই কামরুল আলম খান বাবু টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বাবার বাড়িটি নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিউটি ছিলেন নিঃসন্তান। এ কারণে তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী পরে আরেকটি বিয়ে করেন। এ নিয়েও দাম্পত্য কলহ ছিল।  তবে বিউটির ভাই কামরুল আলম খান পুলিশকে জানিয়েছেন, সম্পত্তি নিয়ে একটু ঝামেলা ছিল। তবে তা এখন আর নেই। চার-পাঁচ মাস আগে সেটা সমাধান হয়ে গেছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা আমার জানা নেই।  শনিবার মিরপুরের দারুসসালাম থানা এলাকার লালকুঠির একটি বাড়ি থেকে শাহানা আলম খান বিউটির হাত-পা বাঁধা এবং মুখে স্কচটেপ লাগানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি ধানমন্ডির ৭ নম্বরে সানিডেল স্কুলের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন। আর ঘটনাস্থলটি বিউটির পৈতৃক বাড়ি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গৃহকর্মী দোলেনা বেগম বাসায় ঢুকে বিউটির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে পুলিশ লালকুঠির তৃতীয় কলোনির ২৫২/১ নম্বর একতলা বাড়ির একটি কক্ষ থেকে বিউটির লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানান, প্রাথমিকভাবে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত মিলেছে। বিউটির গলায় কালো দাগ আছে।

সর্বশেষ খবর