মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

উদ্বিগ্ন মানবাধিকার কাউন্সিলকে বক্তব্য জানাল সরকার

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জেনেভায় গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনার ধারাবাহিকতায় গতকাল বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির তৃতীয় ধাপের পর্যালোচনায় বসে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল। এর আগে বাংলাদেশ বিষয়ে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি এবং ’১৩ সালের এপ্রিলে সেই পর্যালোচনা হয়েছিল।

এরই মধ্যে জমা হওয়া সরকারি প্রতিবেদন, জাতিসংঘের স্থানীয় কার্যালয়ের প্রতিবেদন, স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ ও গ্রুপগুলোর প্রতিবেদন এবং জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের প্রতিবেদন এবং তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের সর্বজনীন মানবাধিকার পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা হয়।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ওই পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ ছাড়া প্রতিনিধি দলে আইন, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই পর্যালোচনার প্রস্তুতিতে ইউনিভার্সেল পিরিওডিক রিভিউর (ইউপিআর) ঢাকা থেকে সংস্থাটির পাঠানো প্রতিবেদনে বেশ কিছু উদ্বেগ ও সুপারিশ স্থান পায়। বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং জোরপূর্বক গুম নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের এ মানবাধিকার কমিটি। সেই সঙ্গে সরকারি বাহিনীর অতিরিক্ত মাত্রায় শক্তি প্রয়োগের বিষয়েও উদ্বেগ রয়েছে তাদের। বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করে এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনায় একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। আগামী  ১৮ মে পর্যন্ত চলা ওই পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও ১৩টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে।

সর্বশেষ খবর