বুধবার, ১৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাচ্চুর সময় প্রার্থনা নাকচ, ৩০ মে দুদকে তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক

অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির না হয়ে আবারও দুই মাসের সময় প্রার্থনা করেছিলেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু। দুদক ওই প্রার্থনা নাকচ করে দিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সপ্তমবারের মতো ৩০ মে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস  দেয়। গতকাল এ নোটিস দেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক শামসুল আলম। ওই দিন হাজির না হলে নোটিসে আইনি ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। বাচ্চু এর আগে ৭ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুই মাসের সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। এরপর ষষ্ঠবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবদুল হাই বাচ্চুকে গতকাল ১৫ মে হাজির হতে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগসহ ঋণ কেলেঙ্কারি মামলার অনুসন্ধানে আবদুল হাই বাচ্চুকে তলব করে দুদক। আবদুল হাই বাচ্চুকে ব্যাংকের কেলেঙ্কারির অভিযোগে গত ৬ মার্চ চতুর্থ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। অন্যদিকে এবারসহ তিনবার তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির হননি। প্রথম দুবারের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। গত ৮ জানুয়ারি তৃতীয় দফায়, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ও ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনে টানা ৫৬টি মামলা করেন দুদকের অনুসন্ধান দলের সদস্যরা। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় এসব মামলায় আসামি করা হয় ১৫৬ জনকে। অনিয়মের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীর গুলশান শাখায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, শান্তিনগর শাখায় ৩৮৭ কোটি টাকা, প্রধান শাখায় প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা এবং দিলকুশা শাখায় ১৩০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। অভিযোগের বাকি অংশের অনুসন্ধান দুদকে চলমান। মামলায় আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন এবং ১৩০ ঋণ প্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিক ও সার্ভে প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকার ও ঋণ গ্রহীতাদের অনেকেই একাধিক মামলায় আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, মো. সেলিম আটটি, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি। তবে কোনো মামলায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি। এ ছাড়া বেসিক ব্যাংক সংক্রান্ত বিষয়ে আরও চারটি মামলা করে দুদক।

সর্বশেষ খবর