বুধবার, ১৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

মৌসুমের শুরুতে বিষাক্ত আম

নিজস্ব প্রতিবেদক

হলুদ টসটসে পাকা আম। দেখলেই জিভে পানি এসে যাবে যে কারও। চোখ বন্ধ করে কিনেও নিচ্ছেন। খাওয়ার পর আক্রান্ত হচ্ছেন পাকস্থলির বিভিন্ন জটিল রোগে। তবে ক্রেতারা জানতেও পারছেন না অপরিপক্ব এই আমগুলো পাকানো হয়েছে ইথোফেন, কার্বাইডের মতো বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি দল কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন আড়তে অভিযান চালায়। সরেজমিন পাকানোর এমন দৃশ্য দেখে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের আদালত এই অপরাধে সংশ্লিষ্টতার জন্য ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ বিচারকার্যের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার মো. মাজহারুল ইসলাম, শরীফ হোসেন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি। বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযানে মিনিল্যাব, মেজারিং ডিভাইস সরবরাহ করা হয়। ধ্বংস করে দেওয়া এসব আম বিশেষ করে রমজান মাসের জন্য প্রস্তুত করছিলেন ব্যবসায়ীরা। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার বলেন, এরা বেশি লাভের আশায় ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ইথোফেন, কার্বাইড ও অন্যান্য উপাদান দিয়ে অপরিপক্ব কাঁচা আম পাকিয়ে বাজারজাত করছিলেন। এসব আম খেয়ে অনেকেই নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। স্প্রে করার ২-১ দিনের মধ্যেই আমগুলো পুরোপুরি হলুদ রং ধারণ করে পেকে যায়। অথচ প্রতিটি কেমিক্যালের বোতলের গায়েই লেখা রয়েছে ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার নিষিদ্ধ। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হযরত আলী (৪৫), কামাল (২৪), টিটু খান (২৯) মো. লিটন (৩০), জাহিদ হাসান (৫০), এমদাদুল হক মিলন (২৫), নুরুল আলম (৪০), হাবিব দেওয়ান (৩৮)।

সর্বশেষ খবর