বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস সালমাদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ভারতকে হারিয়ে ইতিহাস সালমাদের

কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার সালমাদের কাছে ধরাশায়ী হলো ভারত। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো ভারতকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। দুর্দান্ত এই জয়ে এশিয়া কাপে ফাইনালে যাওয়ার রাস্তাটাও অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেল বাংলাদেশের। মেয়েদের এই সাফল্যে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সাকিবদের সিরিজ হারার কষ্ট যেন কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের। গতকাল অলরাউন্ড পারফর্ম করেছেন সাবেক অধিনায়ক রুমানা আহমেদ। বল হাতে মাত্র ২১ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৩৪ বলে খেলেছেন ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস। অপরাজিত ৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন ফারজানা হক। বাংলাদেশের বোলারদের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ভারতের ব্যাটসম্যানরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৪১ রান করে তারা। সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর। এছাড়া দীপ্তি শর্মা করেছেন ৩২। ১৪২ রানের জয়ের টার্গেটে খেলতে নেমে বাংলাদেশের উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে আসে ২৯ রান। তারপর দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে ৪৫ রানে। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে আরও একটি উইকেটের পতন। দলীয় ৪৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদের গন্ধ পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ফারজানার সঙ্গে অপরাজিত ৯৩ রানের জুটি গড়েন রুমানা আহমেদ। দুই বল হাতে রেখেই জিতে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। রুমানা-ফারজানার ৯৩ রানের জুটি বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড। ফারজানা তার ৫২ রানের ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। টি-২০ ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। রুমানা ছক্কা হাঁকাতে না পারলেও  ছয়টি চারের সাহায্যে ক্যারিয়ার সেরা ৪২ রান করেছেন। তিন ম্যাচে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয় এটি। এখন ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের পয়েন্টও চার। তবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে সবচেয়ে সুবিধাজন অবস্থানে রয়েছেন সালমারাই। নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশ পয়েন্ট তালিকার চারে থাকলেও পরের দুই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দুর্বল দল থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া। নেট রানরেট বাড়ানো বড় সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা—তিন দলের জন্যই ফাইনালের পথটা কঠিন। ভারতকে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে পরের দুই ম্যাচে হারাতে হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে। তাই ভারত ফাইনালে যাওয়া মানে বাংলাদেশের পরের ম্যাচে জিতলেই হয়ে যাবে। পাকিস্তান ফাইনালে গেলেও বাংলাদেশের নেটরানের প্রয়োজন নেই। তাই ফাইনালের রাস্তাটা বাংলাদেশের জন্য অনেকটা সহজ হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর