ভারত ও মিয়ানমার পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থী ফেরতসহ যাবতীয় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে অংশ নেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিনট থুর। গতকাল নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শবিষয়ক সপ্তদশ বৈঠকে নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য, কানেকটিভিটি, উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন (বিশেষ করে রাখাইন প্রদেশে বাসগৃহ নির্মাণ) বিষয়ে আলোচনা হয়। বিবৃতিতে সরাসরি রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে বলা হয়, এ উপমহাদেশের যাবতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও দিল্লিতে রয়েছেন। তিনি পৃথকভাবে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, আলোচনায় রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আগামী দুই বছরের মধ্যে সব রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার বিষয়ে সহমত হয়েছে মিয়ানমার সরকার। রোহিঙ্গাদের পরিচয় নির্ধারণের জন্য যে ফরমে তথ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে তাও নিশ্চিত করা হয়েছে বলে মিয়ানমার সচিব জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের একটি পরিবারকে একটি ইউনিট ধরা হবে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ২২২ জনের একটি তালিকা মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। সে অনুযায়ী শিগগিরই প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা করছেন তারা। রাখাইন প্রদেশের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার মিয়ানমার সরকারকে ২৫ মিলিয়ন ডলার লাইন অব ক্রেডিট দিয়েছে। গত মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ যখন মিয়ানমার সফর করেন, তখন এ সাহায্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।