সিটি নির্বাচনের প্রচারে স্থানীয় এমপিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রেখে প্রস্তাবিত আচরণ বিধিমালার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
তিনি জানান, ঈদের পরে কমিশন পর্যালোচনা করে সংশোধিত আচরণবিধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ইসি থেকে আচরণবিধি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। ভেটিংসহকারে এটি আমরা সোমবার পেয়েছি। কমিশন সভায় এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে— যেহেতু আচরণবিধি এজেন্ডাভুক্ত ছিল না; ঈদের পরে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান হেলালুদ্দীন আহমদ। ইসি সচিব জানান, আচরণবিধি প্রজ্ঞাপন আকারে জারি হওয়ার পর এমপিরা প্রচারণায় যেতে পারবেন। প্রজ্ঞাপন না হলে যেতে পারবেন না। ঈদের আগে প্রজ্ঞাপন হওয়ার সুযোগ নেই; ঈদের পরে প্রজ্ঞাপন হবে। ২৬ জুন গাজীপুরের ভোট। সেখানে ১৮ জুন থেকে প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা। কমিশন আগেই বলেছিল, গাজীপুরে সংশোধিত আচরণবিধি প্রযোজ্য হবে না। সেক্ষেত্রে স্থানীয় এমপিদের বাইরে অন্যরা অংশ নেওয়ার সুযোগও পাবেন না। আজ বুধবার রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ৩০ জুলাই ভোটের তারিখ আগেই ঘোষণা দিয়েছিল ইসি; আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তফসিল দেওয়া হবে। তিন সিটিতে তফসিল ঘোষণার পর এমপিদের প্রচারের সুযোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এটা আইনগত মতামত নিয়ে বলা যাবে। ঈদের পরে প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর কমিশন সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। কমিশন যদি বলে—এটা ভূতাপেক্ষ হবে, হতে পারে। গাজীপুরে সম্ভব না হলেও নতুন সংশোধিত আচরণবিধি পরবর্তী ৩ সিটি নির্বাচনে কার্যকর হতে পারে বলে জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সচিব জানান, এবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৭৫টি নতুন দল আবেদন করে। সেখান থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ে ১৯টি দল বাতিল হয়। এরপর তথ্য সংশোধন করে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়। তাতে ৯টি দল ব্যর্থ হলে তাদের আবেদন বাতিল করা হয়। বাকি ৪৫টি দল থেকে ২টি দলের আবেদন আমলে নিয়েছে কমিশন। এখন মাঠপর্যায়ে এদের খোঁজ নেওয়া হবে। ইসি সচিব জানান, দল দুটি হচ্ছে বাংলাদেশ কংগ্রেস ও গণ-আজাদী লীগ। তদন্তের পরই তাদের নিবন্ধন দেওয়া হবে কি হবে না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।