বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
ঈদবাজার

গহনা, মেহেদি ও প্রসাধনীর খোঁজে ক্রেতারা

জিন্নাতুন নূর

গহনা, মেহেদি ও প্রসাধনীর খোঁজে ক্রেতারা

ঈদের পোশাক কেনা শেষ। এবার পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চাই গহনা এবং প্রসাধনী সামগ্রী। তা না হলে ঈদের সাজ যেন পরিপূর্ণই হবে না। যমুনা ফিউচার পার্কে এসে কথাগুলো বলছিলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইসা। বিভিন্ন দোকান ঘুরে যাচাই-বাছাই করে শপিং মলটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে গোল্ড প্লেটের ওপর স্টোন বসানো একসেট গহনা এবং ম্যাক ব্র্যান্ডের ফেস পাউডার ও আইশ্যাডো কিনেছেন রাইসা। বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের প্রসাধনীর দোকানগুলোতে গতকালও ছিল উপচেপড়া ভিড়। মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেরাও সমানতালে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী যেমন— ব্র্যান্ডের সুগন্ধি, চুলের জেল, ফেসপ্যাক এবং বিভিন্ন ক্রিম কিনছিল। কথা হলে ব্যাংক কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, ঈদের জামাতে যেতে বাবার জন্য আতর কিনতে এসেছি। নিজের জন্য অবশ্য রাজু এডিডাস ব্র্যান্ডের পারফিউম কেনেন।

যমুনা ফিউচার পার্কের আড়ং-এ পোশাকের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছিল মেহেদি ও উপটন। পোশাক ও গৃহসজ্জার বিভিন্ন সামগ্রী কিনে তরুণী ও কিশোরীদের অনেকেই ঈদ উপলক্ষে মেহেদির টিউব কিনছিলেন। কথা হলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক গৃহিণী লোপা আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মেহেদিতে হাত রাঙানো ছাড়া কি আর ঈদ হয়! মা-মেয়ে মিলে চাঁদ রাতে ঈদের রান্নার কাজ সেরে হাতে মেহেদি লাগব। এর মধ্যে আছে অন্য রকমের আনন্দ। রাজধানীর চাঁদনীচক, মৌচাক মার্কেট, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলসহ পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোয় ঈদের শেষ মুহূর্তে এসে জোরেশোরে মেহেদি বিক্রি হচ্ছে। তবে যে ক্রেতারা একটু ভালো মানের মেহেদির খোঁজ করেন তারা ঢুঁ মারছেন আলমাসের মতো সুপার শপে। আগ্রহীদের কেউ কেউ আবার বিভিন্ন পারলারে গিয়ে এবং মেহেদি উৎসবে গিয়েও মেহেদিতে হাত রাঙাচ্ছেন। মিরপুর এক নম্বর মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের দোকান ও সামনের ফুটপাথে মেয়েদের কসমেটিক্স ও গহনার দোকানদাররাও বিশাল পসরা নিয়ে বসেছেন। মূলত পোশাক শ্রমিক ও নিম্নআয়ের ক্রেতা এসব মার্কেটে বেশি ভিড় করছেন। সেখানে চুড়ি, কানের দুল, মালা, পায়েল, ক্লিপ, লিপস্টিক, আইশ্যাডো, আই লাইনার ও নেইল পালিশসহ মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ও গহনা সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। গতকাল দুপুরে রুপা নামের এক পোশাক শ্রমিক যখন লিপস্টিক ও নেইল পালিশ কেনার জন্য বিক্রেতার সঙ্গে দরদাম করছিলেন তখন তার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘অল্প কয় টাকা মাত্র বেতন পাই। তারপরও মেয়ের আহ্লাদ পূরনের লাইগা এগুলো কিইন্যা দিতাছি। কী করা, ঈদ বইলা কথা।’ ভিড় ছিল এলিফ্যান্ট রোডে হাতঘড়ির দোকানগুলোতে। বিভিন্ন বয়সী ছেলে ও তরুণরা পাঞ্জাবির সঙ্গে পরার জন্য ফ্যাশনবেল ও নামিদামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি কিনছিলেন। একটি ঘড়ির দোকানে কথা হয় ব্যবসায়ী সাইমন কামালের সঙ্গে। তিনি বলেন, পাঞ্জাবির সঙ্গে হাতে একটি স্মার্ট ঘড়ি থাকতেই হবে। আর এর সঙ্গে র‌্যাভেন ব্র্যান্ডের একটি আধুনিক সানগ্লাস কিনলেই আমার ঈদের সাজ পরিপূর্ণ হবে।

সর্বশেষ খবর