রবিবার, ২৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

লোকশূন্য সেই অবৈধ পর্যটনকেন্দ্র

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালু করা অবৈধ সেই পর্যটন কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন পর্যটকরা। গতকাল বন্ধের দিন হলেও এ পর্যটন কেন্দ্রে লোক সমাগম ছিল এক প্রকার শূন্য।

তবে জানা গেছে, বন্ধ হওয়া এ পর্যটন কেন্দ্র ফের চালু করতে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছেন এমএ কাসেম রাজা ও তার লোকজন। তারা সরকারবিরোধী নানান প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে ওই এলাকা অস্থির করার চেষ্টা করছে। বাঁশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর বলেন, দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর অবৈধ পর্যটন কেন্দ্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। শনিবার বন্ধের দিন হলেও ওই পর্যটন কেন্দ্র এক প্রকার লোকশূন্য ছিল। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের নির্দেশের পরও কাসেম রাজার লোকজন ওই এলাকায় তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। বন্ধ হওয়া ওই পর্যটন কেন্দ্র ফের চালু করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা উদ্দেশ্য হাসিল করতে স্থানীয় লোকজনকে উসকে দিচ্ছে। সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাাচ্ছে। দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, দুই শিক্ষার্থীর প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে বন্ধ হচ্ছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চালু করা বাঁশবাড়িয়ার অবৈধ সেই পর্যটন কেন্দ্র। এরই মধ্যে অনুমোদনহীন এ পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। সীতাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অনুমোদনহীন পর্যটন কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই পর্যটন কেন্দ্রে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্কতামূলক ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। ওই বিনোদন কেন্দ্রে যাতে কেউ না যায়, তার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া দুজন গানম্যান নিয়োগ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কোনো পর্যটক ওই বিনোদন কেন্দ্রে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘ওই সৈকতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুজন চকিদার দেওয়া হবে, যাতে কেউ ওই দিকে যেতে না পারে। কেউ ওই সৈকতের দিকে যেতে চাইলে তারা বাধা দেবে।

অভিযোগের তীর রাজার দিকে : দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর জন্য অভিযোগের তীর উঠেছে অবৈধ পর্যটন কেন্দ্রের মালিক এমএ কাসেম রাজা ও তার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও ওই পর্যটন কেন্দ্রে আসা লোকজনের দাবি- কাসেম রাজার লোকজন যদি ওই দিন তৎপর হতো, তা হলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটত না। ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীরের দাবি— দুই শিক্ষার্থী ভেসে যাওয়ার পর কাসেম রাজার লোকজনের কাছে লোকজন সহায়তা চায়। কিন্তু তারা সাহায্য করেনি। যদি কাসেম রাজার লোকজন এগিয়ে আসত তাহলে এ ঘটনা এড়ানো যেত। নিহত দুই শিক্ষার্থীর সহপাঠী আরিফুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, পর্যটন কেন্দ্রটির লোকজনের অসহযোগিতার কারণে আমার দুই বন্ধুকে হারিয়েছি। আমরা তাদের কাছে বারবার অনুরোধ করেছিলাম বন্ধুদের উদ্ধারের জন্য, কিন্তু তাদের কোনো সহযোগিতা পাইনি।

সর্বশেষ খবর