সোমবার, ২৫ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

দিনাজপুরে করলা চাষে বিপ্লব

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

দিনাজপুরে করলা চাষে বিপ্লব

করলা চাষের সফলতায় হাজার হাজার পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে। এ করলা চাষে নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে জেলার খানসামা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কৃষক। ওইসব গ্রামের চারদিকে সবুজ ও হলুদের সমারোহ। এটা কয়েকটি গ্রামের খেতের চিত্র। সবুজ আর হলুদে ভরে উঠেছে খানসামা উপজেলার পূর্ব হাশিমপুর, পশ্চিম হাশিমপুর, আঙ্গারপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, পূর্ব ডাঙ্গাপাড়া, খামারপাড়া, হোসেনপুর, তেবাড়িয়া, গোবিন্দপুরসহ কয়েকটি গ্রামের করলার খেত। খানসামার এসব করলা খেতে তারা রানীপুকুরি জাতের বীজ বপন করেছেন। কমপক্ষে ১০ হাজার কৃষক পরিবার করলা চাষ করে সফলতা পেয়েছে। হাসি ফুটেছে ওইসব গ্রামের প্রতিটি কৃষকের মুখে। অল্প সময়ে বেশি লাভের কারণে করলা চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছে এসব কৃষক। ওইসব করলার খেত এখন করলার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন ওইসব গ্রাম থেকে শত শত মণ করলা ট্রাক-টেম্পোযোগে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। করলাকে কেন্দ্র করে খানসামার পাকেরহাট, বুড়িরবাজার, তেবাড়িয়া, বাহাদুরবাজার, মরিয়মবাজারে প্রতিদিন বিশাল পাইকারি বাজার বসে। বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার এখান থেকে করলা কেনেন। গোবিন্দপুর মধ্যপাড়ার কৃষক ময়েজ উদ্দিন জানান, তার খেতের করলা ১৪ টাকা কেজি দরে তিনি বিক্রি করছেন। ১ বিঘার করলা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হতে পারে। এ দামে বিক্রি হলে বিঘাপ্রতি ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে। হাশিমপুর গ্রামের করলা চাষি মাজেদ আলী জানান, এবার করলা খেতে পোকা-মাকড়ের উৎপাত কম, বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম। তাই কীটনাশক খরচও কম। বেশি ফলনের পাশাপাশি ব্যয়ও অপেক্ষাকৃত কম। এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আফজাল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে করলা চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার খানসামা উপজেলায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১২-১৪ মেট্রিক টন করলা উৎপাদিত হয়েছে; যা বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

সর্বশেষ খবর