শনিবার, ৩০ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

এরশাদের টেবিলে ৮০০ প্রার্থীর তালিকা

আওয়ামী লীগের কাছে ৭০ এমপি ও ১০ মন্ত্রী চাওয়া হবে

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির আগ্রহী অন্তত ৮৫০ প্রার্থীর তালিকা দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে রয়েছে। এককভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে এদের মধ্য থেকে ৩০০ প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন এইচ এম এরশাদ। এদিকে, পার্টির প্রভাবশালী এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রায় চূড়ান্ত একটি সমঝোতা হয়েছে। জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ জোটগতভাবেই আগামীতে নির্বাচন করবে। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি ৭০ জন এমপি এবং ১০ জন মন্ত্রী চাইবে।

পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য আগামী নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নেওয়া। আমাদের প্রায় প্রতিটি আসনেই তিন থেকে চারজন প্রার্থী রয়েছে। আবারও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট হবে কিনা জানতে চাইলে বলেন, ইতিমধ্যে এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে সম্মিলিত জাতীয় জোট করেছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে চূড়ান্ত বিবেচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা পার্টির চেয়ারম্যানকে দিয়েছে দলের সর্বোচ্চ পর্ষদ। জানা যায়, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। প্রথমত, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আবারও জোট করে নির্বাচন করলে দলটির কাছে সর্বনিম্ন ৭০ আসন চাইবে। এখান থেকে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন শরিক দলগুলোকে চারটি আসন দেওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে। বর্তমানে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে দল গোছাচ্ছে। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে তখন তারা মহাজোটে থেকে, নাকি এককভাবে নির্বাচন করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী মাসের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীর একটি খসড়া তালিকা তৈরি করা হবে। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে প্রধান দুটি জোট যত শক্তিশালীই হোক, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে দুই জোটের টানাটানি হতে পারে। আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ বলেন, এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির যে কোনো আবদার পূরণে বড় দুই দল পিছপা হবে না। দলটি সে সুযোগই খুঁজছে। জানা যায়, আওয়ামী লীগের কাছে জাতীয় পার্টি যেসব আসন চাইবে তাতে বর্তমান জাপার ৩৪ সংসদ সদস্যের নাম রয়েছে। জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, এরশাদ আশা করেন ন্যূনতম ৭০টি আসন আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেবে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ৭০টি আসনে ছাড় দিতে চেয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এসে এরশাদ আকস্মিক সরে যাওয়ায় জাতীয় পার্টি এটি অর্জন করতে পারেনি। অনেকেই দলীয় প্রধানের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত ৩৪টি আসন পায় জাপা। সংরক্ষিত আসন মিলিয়ে এখন জাপা ৪০ এমপি নিয়ে সংসদের বিরোধী দল।

সর্বশেষ খবর