শনিবার, ৩০ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছাড়ার হুমকি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষকরা ২ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় মূল ধর্ষকসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরা হলেন উপজেলার উত্তর পাথালিয়ার হাসান আলীর ছেলে মজনু (২৭) ও তার সহযোগী জোছনা বেগম (৪০)। বৃহস্পতিবার রাতে পাথালিয়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল সকালে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। মামলাসূত্রে জানা যায়, বাবা-মার ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী নানির কাছে থেকে লেখাপড়া করত। ১৬ এপ্রিল ওই ছাত্রী উত্তর পাথালিয়া গ্রামের পড়শি ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মজনু ও শামসুল হকের ছেলে সোহাগ ওই স্কুলছাত্রীকে কৌশলে ঘরে আটকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এ সময় তারা ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় ওই ছাত্রীর দরিদ্র নানি ঘটনাটি চেপে যান। স্থানীয় হাসপাতালে গোপনে ধর্ষিতার চিকিৎসা করানো হয়। ধর্ষিতার মা অভিযোগ করে বলেন, তাদের দারিদ্র্যের ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুনরায় শিশুটিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসে ধমকি দিতে থাকেন। এ অবস্থায় শিশুটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শিশুটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয়বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়। এ অবস্থায় ধর্ষকরা ৯ জুন ধর্ষকের নানাবাড়ি গিয়ে নানির হাতে ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে মোবাইলের মেমোরি কার্ড তুলে দেন এবং টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে এ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান। এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ষিতার মা তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতে ধর্ষক মজনু ও তার সহযোগী জোছনা বেগমকে গ্রেফতার করে। সোহাগ পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতার দুজন পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

সর্বশেষ খবর