সোমবার, ৯ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
জাতীয় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবই করব

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবই করব

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলচ্চিত্র মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি। এর মাধ্যমে সমাজে অনেক বার্তা পৌঁছানো যায়। দেশের ও সমাজের ভালোর জন্য অনেক ভূমিকা রাখতে পারে এই চলচ্চিত্র। তিনি বলেন, একটা সময় সিনেমা দেখা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। এখন মানুষ আবারও সিনেমা দেখছে। এটা আনন্দের খবর। তাই আমরা যেন বিশ্বমানের চলচ্চিত্র বেশি বেশি বানাতে পারি তার জন্য যা যা করা দরকার আমার পক্ষ থেকে সবই করব। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪১তম আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এমন বিষয় সিনেমায় তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন। এই এফডিসি আর চলচ্চিত্র শিল্প আমার বাবার হাতে তৈরি করা। তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন অনেক ভালো সিনেমা হয়। সবসময় দেখতে পারি না, তবে বিমানে যাতায়াতের সময় সিনেমা দেখি। ওই একটাই সুযোগ, নিরিবিলি দেখি। এর বাইরে তো সময় পাই না। সারা দিন মিটিং আর ফাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।  সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসেই ২৫টি বিভাগে মোট ৩১ জন বিজয়ীর হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ এর ক্রেস্ট, মেডেল ও চেক তুলে দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এবারের আসরে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা ও ‘মিয়া ভাই’ খ্যাত অভিনেতা ফারুক। পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে চিত্রনায়ক ফারুক চলচ্চিত্রের উন্নয়নে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন।

মেধাবীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল তেজগাঁও কার্যালয়ে দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৮ এর নির্বাচিত জাতীয় পর্যায়ের ১২ জন সেরা মেধাবীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেছেন। এসময় তিনি প্রতিযোগিতাময় বিশ্বে টিকে থাকার জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশকেও এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগুতে হবে। আমরা সেভাবেই আমাদের শিশু-কিশোরদের গড়ে তুলতে চাই এবং শিক্ষাই তাদের বিকাশের একমাত্র চাবিকাঠি।’ তিনি বলেন, দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে উন্নত ও সমৃদ্ধভাবে গড়ে তোলার মূল হাতিয়ার হলো শিক্ষা।  কেউ যদি শিক্ষিত হয় তাহলে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে  সে টিকে থাকতে পারে। সবাইকে একটা কথাই বলব, শিক্ষাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু না। এই সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না, ছিনতাই করতে পারবে না। শিক্ষাটা যদি থাকে জীবনটাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যায়।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের শিশুরাই একদিন সবকিছু পরিচালনা করবে। সেই সুযোগটাই আমরা সৃষ্টি করতে চাই।  সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন, জ্ঞান-বিজ্ঞানভিত্তিক একটি জাতি আমরা গড়ে তুলতে চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।’

 

♦ জাতীয় পুরস্কার পেলেন যারা, বিশেষ আয়োজন পৃষ্ঠা-৮ শোবিজ এ

সর্বশেষ খবর