বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যা

ডেথ রেফারেন্স শুনানি শিগগিরই

আরাফাত মুন্না

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে প্রায় ছয় বছর পর হাই কোর্টে শুরু হচ্ছে চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) ও আপিল শুনানি। বর্তমানে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকার ৬ নম্বরে রয়েছে মামলাটি। আগামী সপ্তাহে বহুল আলোচিত এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। বিচারিক দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকবে বলে আশা নিহত ফরহাদ খাঁ দম্পতির এক মাত্র মেয়ের। গতকাল সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, মামলাটি কার্যতালিকার ৬ নম্বরে রয়েছে। এখন তালিকায় থাকা দুই নম্বর মামলাটির শুনানি শুরু হচ্ছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহে ফরহাদ খাঁ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি শুরু হতে পারে। ফরহাদ খাঁ দম্পতির একমাত্র মেয়ে ইতালি প্রবাসী আইরিন পারভীন টেলিফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঘুমের মধ্যে আমার বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই ২০১২ সালে খুনিরা বিচারিক আদালতে প্রাপ্য শাস্তি পেয়েছে। তবে উচ্চ আদালতে এখনো নিষ্পত্তি না হওয়ায় দণ্ড কার্যকর করা হয়নি। আশা করছি উচ্চ আদালতও আমার নিরপরাধ বাবা-মাকে হত্যার ঘটনার ন্যায় বিচার করবেন। খুনিদের মৃত্যুদণ্ডই বহাল থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের আপনজনই বাবা-মাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনার আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে আর কেউ এমন ঘৃণ্য কাজ করতে সাহস পাবে না।

সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি হত্যার ঘটনায় ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর মামলার দুই আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩ এর তৎকালীন বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান। বর্তমানে দুই আসামিই কারাগারে রয়েছে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণের জন্য মামলাটি ডেথ রেফারেন্স (৫৭/২০১২) মামলা হিসেবে হাই কোর্টে আসে। সঙ্গে নিয়মিত ক্রিমিনাল আপিলের পাশাপাশি দুই আসামিই জেল আপিল দায়ের করে। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল একসঙ্গেই শুনানি হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাড়া বাসায় খুন করা হয় দৈনিক জনতার তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুনকে। নিজের আপন ভাগ্নে ও তার বন্ধু মিলে গভীর রাতে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে এ দম্পতিকে। ঘটনার কয়েকদিন পর ফরহাদ খাঁর ভাগ্নে নাজিমুজ্জামান ইয়ন ও তার বন্ধু রাজু আহমেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এই দুই আসামি পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দোষ স্বীকার করে। ইয়ন তার বক্তব্যে পুলিশকে জানায়, মামা ফরহাদ খাঁর গলায় তিনি নিজেই ছুরি চালিয়েছিলেন। আর তার মামি রহিমাকে হত্যা করেছিলেন বন্ধু রাজু।

সর্বশেষ খবর