বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাদল ফরাজীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

একটি হত্যা মামলায় ১০ বছর ভারতের কারাগারে বন্দী জীবন কাটিয়ে সমপ্রতি দেশে ফেরা বাদল ফরাজীর মুক্তির বিষয়ে সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট। গতকাল বাদল ফরাজীর মুক্তির আদেশ চেয়ে করা রিট আবেদন উপস্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদেশে আদালত বলেছে, সরকার যেহেতু উদ্যোগী হয়ে বাদলকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে, সেহেতু সরকারই হয়ত তার মুক্তির পদক্ষেপ নেবে। এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা দেওয়া ঠিক হবে না। এর আগে গত রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাওছার বাদলের মুক্তি চেয়ে রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাদল ফরাজী ভুল বিচারের শিকার হয়ে ভারতে ১০ বছর কারাভোগ করেছেন। তিনি নির্দোষ হওয়ার পরও দেশে ফিরিয়ে এনে তাকে আবার কারাগারে নেওয়া হয়েছে, যা সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৬ ও ৪৪ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। গতকাল আদেশে আদালত বলে, ভারতের আদালতের রায়ে দেখা যাচ্ছে তারা তাদের দেশের ওই হত্যা মামলায় বাংলাদেশের বাদল ফরাজীকেই সাজা দিয়েছে। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকার তার বিষয়ে পজেটিভ। সরকার পদক্ষেপ নিয়ে বাদল ফরাজীকে তিহার জেল থেকে এদেশের জেলে নিয়ে এসেছে। এখন তার মুক্তির ব্যাপারে সরকারই হয়ত কোনো পদক্ষেপ নেবে। ভারতের দিল্লির তিহার জেলে খুনের মামলায় আসামি হয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে জেল খেটেছেন বাংলাদেশি বাদল ফরাজী। ২০০৮ সালের ৬ মে দিল্লির অমর কলোনির এক বৃদ্ধাকে হত্যার ঘটনায় দিল্লির পুলিশ বাদল সিং নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছিল। ওই বছরের ১৩ জুলাই ট্যুরিস্ট ভিসায় বেনাপোল সীমান্ত পার হওয়ার পরপরই ওই হত্যা মামলায় বাদল ফরাজীকে গ্রেফতার করে ভারতের পুলিশ। বাদল সিং মনে করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সেখানে বিচার শেষে তাকে ওই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় বাদল ফরাজীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর