এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১৭ দিনের মাথায় গতকাল তাদের আমরণ অনশন ভঙ্গ করেছেন। ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শিক্ষকদের মুখে পানি তুলে দেন। এ সময় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী ও ডা. সারওয়ার আলী উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষকরা অনশন ভঙ্গ করেন। এর আগে সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন। শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ তুলে ধরেন। নাহিদ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য মন্ত্রণালয়ের দুটি কমিটি কাজ করছে। যেসব শিক্ষক এমপিওভুক্ত হবেন, তারা জুলাই মাস থেকেই বেতন পাবেন। সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতার দাবিতে প্রায় এক মাস আগে অবস্থান কর্মসূচি, প্রতীকী অনশনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে কয়েকটি শর্ত দিয়ে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে আলাদা বরাদ্দ রাখা হবে বলে বাজেটের আগে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কিন্তু বাজেটে এমপিও নিয়ে কোনো ঘোষণা না থাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফের আন্দোলনে নামেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনশনস্থলে উপস্থিত হয়ে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্বাসের কথা শিক্ষকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে আমরা আপনাদের শিক্ষকদের সমস্যার ব্যাপারে আশা দেখতে পাই। আপনারা যে দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন, সেটা সামনে রেখে আশা করি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন একটা উপায় বের করবে, যাতে এই অবস্থার উপযুক্ত সমাধান পাওয়া যাবে। রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যথাযথ মূল্যায়ন করে ধাপে ধাপে হলেও আপনাদের দাবি আশা করি সরকার মেনে নেবে।
আশা করি আপনারা অনশন ভঙ্গ করে বিদ্যালয়ে ফিরে পাঠদান শুরু করবেন। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সংগঠন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সন্তুষ্ট হয়েছি। এ ছাড়া শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান স্যার এসে আমাদের দাবি মেনে নিতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন। তার আশ্বাস পেয়ে আমরা অনশন ভঙ্গ করেছি।
