শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
বিজিবি-বিজিপি সম্মেলন

ইয়াবা নিয়ে উদ্বেগ

বিশেষ প্রতিনিধি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সিনিয়র পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে ভয়ঙ্কর মাদক-ইয়াবা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। দেশজুড়ে ইয়াবার আগ্রাসন প্রসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিয়ানমারের দিকে আঙ্গুল তুললেও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির দাবি, মিয়ানমারও ইয়াবার আগ্রাসনে ভুক্তভোগী।

বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে সোমবার ঢাকার পিলখানায় শুরু হওয়া চার দিনের এ সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হয়। সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গতকাল সকালে বিজিবি সদর দফতরে যৌথভাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় মিয়ানমার প্রতিনিধিদের পক্ষে দোভাষীর সহায়তায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মজিবুর রহমান। মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে ইয়াবা প্রবেশ বন্ধে বিজিপির উদ্যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমারও ইয়াবার আগ্রাসনে ভুক্তভোগী বলে জানিয়েছে। ইয়াবাসহ যে কোনো মাদক চোরাচালান রোধে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিজিপি আশ্বাস দিয়েছে।

মাদকের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের পর বাংলাদেশ থেকে অনেক গডফাদার মিয়ানমারে আশ্রয় নিয়েছে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে এমন মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সীমান্তে আন্তর্জাতিক রীতি-নীতির বিষয় উল্লেখ করে সম্প্রতি মিয়ানমারের নাগরিকদের সীমান্ত অতিক্রমসহ গুলিবর্ষণের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সীমান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বন্ধে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সীমান্তে মাদক, অস্ত্র, নারী ও শিশু পাচারসহ সব ধরনের আন্তসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সমন্বিত যৌথ টহল, সীমান্তে নজরদারি ও অন্যান্য তৎপরতা বৃদ্ধি, উভয় পক্ষের মাঠপর্যায়ের অধিনায়কদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা এবং সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষায় পরস্পরের মধ্যে তাত্ক্ষণিক তথ্য বিনিময়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। সম্মেলনে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা অংশ নেন। অন্যদিকে পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর