সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজশাহীতে মাঠে জ্যেষ্ঠ নেতারা

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহী বিএনপির দুই প্রভাবশালী নেতা মিজানুর রহমান মিনু ও নাদিম মোস্তফা। মিজানুর রহমান মিনু দীর্ঘদিন নগরের আর নাদিম মোস্তফা জেলার সভাপতি ছিলেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এই দুই নেতা সব সময় দুই মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন। তবে এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে আবারও একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তারা। বিএনপি সূত্র জানায়, মিনুকে বাদ দিয়ে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল এবং নাদিমকে বাদ দিয়ে তোফাজ্জল হোসেন তপুকে সভাপতির দায়িত্ব দেন খালেদা জিয়া। এর পর থেকেই মিনু-নাদিমের সঙ্গে বুলবুলের দূরত্ব। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগের দিন নাদিম মোস্তফার বাড়িতে গিয়ে নিজের পক্ষে কাজ করতে অনুরোধ করেছিলেন বুলবুল। কিন্তু তাতে সাড়া দেননি নাদিম মোস্তফা। আবার কমিটি নিয়ে মিনুর সঙ্গে যে দূরত্ব ছিল তা নিরসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাজশাহীতে এসেছিলেন। কিন্তু মিনুকে টলাতে পারেননি। তবে প্রচারণা শুরুর পর মিনু ও নাদিম ঠিকই বুলবুলের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।

বুলবুলের পক্ষে এই দুই প্রভাবশালী নেতার মাঠে নামার কারণ হিসেবে অনেকে লন্ডন কানেকশন বলে মনে করছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু জানান, তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি নির্বাচনের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। কোথাও দলীয় নেতারা অভিমান করে থাকলে তিনি (তারেক রহমান) পরামর্শ দিয়ে সেই অভিমান ভুলে কাজ করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। দুলু বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান প্রভাব রাখতেই পারেন।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রাজশাহী এসে প্রবীণ নেতা কবীর হোসেনের কাছে যান। প্রায় দুই ঘণ্টা তার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে নগর বিএনপির কয়েকজন নেতা ও মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল উপস্থিত ছিলেন। তবে মিনু ছিলেন। এর পরই কমিটি নিয়ে বিরোধে বুলবুলের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাদের মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু মিনু-সমর্থকরা মাঠে নামেননি। এমনকি নাদিম মোস্তফার ঘনিষ্ঠরা নগরীর বাইরে অবস্থান নিতে শুরু করেন। এর পরই মূলত তারেক রহমানের শরণাপন্ন হন বুলবুল। সেখান থেকে নির্দেশনা আসার পর এখন মিনু, নাদিম সবাই একসঙ্গে বুলবুলের হয়ে কাজ করছেন। এদিকে বুলবুলকে জোটগতভাবে জামায়াত সমর্থন দিলেও এখনো তারা মাঠে নামেনি। বিএনপির মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু জানান, জামায়াত কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের সমর্থন দিয়েছে। তবে এখানে এখনো তারা মাঠে কাজ করছে না। তাদের কাজ দৃশ্যমান না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না তারা সমর্থন দিয়েছে।

সর্বশেষ খবর