সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জেলায় তিন জন নিহত

প্রতিদিন ডেস্ক

সাতক্ষীরা ও বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ‘মাদক ব্যবসায়ী’ নিহত এবং একজন আহত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ‘ডাকাত সর্দার’ নিহত হয়েছেন। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের কয়ারবিল ব্রিজের পাশে গতকাল গভীররাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী। তারা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের আবদুল গণির ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩৮) ও কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪০)। পুলিশ বলছে, তারা দুজনেই আন্তজেলা মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও বেশকিছু মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সময় আহত হয়েছেন পাঁচ পুলিশ সদস্যও। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, শনিবার বিকালে মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার ও আবুল কালামকে কিছু গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ গোয়েন্দা পুলিশ বাঁশদহা বাজার থেকে আটক করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা স্বীকার করে যে গভীর রাতে মাদকের একটি বড় চালান ভারত থেকে আসবে। সে অনুযায়ী তাদেরকে নিয়ে মাদকের চালান উদ্ধারে যায় পুলিশ। কিন্তু বাঁশদহার কয়ার বিল এলাকায় পৌঁছাতেই আগে থেকে ওতপেতে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ওপর গুলি চালায়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে তাদের দুজনকে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। গ্রামবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ভালুকা (ময়মনসিংহ) : পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী ভালুকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মুরাদ আকন্দ (৩০) নামে আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার নিহত হয়েছেন। গতকাল গভীর রাতে উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের হাইজ্যাকের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভালুকা মডেল থানার দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার জানান, মুরাদ আকন্দ এই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সর্দার। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ওয়ারেন্টসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রামদা, গুলির একটি খোসা, একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের হাইজ্যাকের মোড় এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে আন্তজেলা ডাকাত দলের সর্দার পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ শুরু করেন। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের গোলাগুলির মাঝে ডাকাত সর্দার মুরাদ আকন্দ গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া : কাহালুতে পুলিশের গুলিতে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ বকুল সরকার (৩৮) আহত হয়েছেন। তিনি কাহালু উপজেলার কালাই ধনপাড়ার বুলু সরকারের পুত্র। তার বিরুদ্ধে থানায় আটটি মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মধ্যরাতের পর কাহালু উপজেলার কালাই খামার পাড়া পাকা রাস্তায় একদল দুর্বৃত্তদের অবস্থান নেওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। তখন দুর্বৃত্তরা পুলিশের ওপরে গুলি চালায়। পুলিশও গুলি করলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় বকুল সরকারকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ১১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি ছোরা, একটি হাঁসুয়া, একটি রামদা ও একটি ছামুরা উদ্ধার করা হয়। বন্দুকযুদ্ধের সময় কাহালু থানার দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত মাদক ব্যবসায়ীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর