খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী শুক্রবার ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকাল ৩টায় এ কর্মসূচি পালিত হবে। গতকাল সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে দেশনেত্রী জ্বরে আক্রান্ত। তার হাঁটুর ব্যথাও বেড়ে গেছে বলে। স্বজনরা শনিবার তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। আজ প্রায় ১৩ দিন স্বজনদের সঙ্গে তার দেখা হচ্ছে না। আমরা আবারও সরকারকে বলছি, অবিলম্বে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিন ও তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। দেশনেত্রীর চিকিৎসা না দিয়ে তার সঙ্গে অবর্ণনীয় ও অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে এবং তার কারামুক্তির দাবিতে আগামী ২০ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে। ঢাকায় বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ আহ্বান করছি।’ অসুস্থ খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।
পুরানো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি খালেদা জিয়ার জ্বর ও ব্যথায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে শনিবার তার স্বজনরা সাক্ষাৎ না পাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝি না কোন ধরনের রাজনীতি, কোন ধরনের প্রতিহিংসা হলে একজন অসুস্থ মানুষ, যার বয়স ৭৩ বছর তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের ব্যবস্থা চলতে পারে না। এরা বর্বরোচিত আচরণ করছে। দেশনেত্রীকে একটা নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে-এটা কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন।’ সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, শামসুজ্জামান সুরুজ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
