রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট ভোগান্তি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা ঘিরে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে দাউদকান্দি টোলপ্লাজা, মেঘনা-গোমতী, মেঘনা দুটি ব্রিজে যানজটে আটকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোরলেন হওয়ায় কুমিল্লা থেকে ঢাকা যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগার কথা। অথচ মাঝে মধ্যে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগছে। এ জন্য যাত্রীরা দাউদকান্দি টোলপ্লাজার গাড়ি ছাড়ার ধীরগতি আর মেঘনা-গোমতী, মেঘনা দুটি ব্রিজ এলাকার যানজটকে দায়ী করেছেন। কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী বাসের নিয়মিত যাত্রী আবুল আজাদ  বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোরলেন হওয়ার পর খুশি হয়েছিলাম। কুমিল্লা থেকে ঢাকায় যেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগার কথা থাকলেও সেখানে ছয় সাত ঘণ্টা সময় লাগছে। দাউদকান্দি টোলপ্লাজার গাড়ি ছাড়ার ধীরগতি আর মেঘনা-গোমতী, মেঘনা দুটি ব্রিজ এলাকার যানজট যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে দিচ্ছে। আমরা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাই।’ লরি চালক কামাল উদ্দিন জানান, ‘দাউদকান্দি টোলপ্লাজার ওজন স্কেলে ত্রুটি আছে। একটিতে ৪৫ টন ওজন হলে অন্যটাতে আবার ৪০ টন দেখা যায়। এ জন্য আমাদের হয়রানিতে পড়তে হয়। বিভিন্ন সারিতে দাঁড়াতে গিয়ে যানজট লাগে।’

টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) জিয়াউল আহসান বলেন, ‘ছুটির দিনে টোলপ্লাজায় চাপ থাকে। মেঘনা-গোমতী সেতু দুই লেনের হওয়ায় মাঝে মধ্যে যানজট তৈরি হয়। এদিকে ৪৪ টন ওজনের অনুমতি দেওয়ায় অতিরিক্ত ওজনের গাড়ি এখন টোলপ্লাজায় খুব বেশি আসে না। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন চালকদের ভোগান্তি রোধে তৎপর রয়েছি।’ দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘ব্রিজগুলো দুই লেন হওয়ায় যানজট লেগে যাচ্ছে। ফোরলেন ব্রিজগুলো চালু হলে টোলপ্লাজায় যানজট থাকবে না। বিশেষ করে মেঘনা-গোমতী ব্রিজে মাঝে মাঝে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এ জন্যও যানজট লেগে যায়।’

সর্বশেষ খবর