বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
শান্তিরক্ষায় সমন্বিত কাজ করার অঙ্গীকার

বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলনে রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের চার দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে মঙ্গলবার আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা আগমনে উদ্ভূত ‘নিরাপত্তাবিষয়ক উদ্বেগ’ নিয়েও কথা হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় মঙ্গলবার সমাপ্ত অর্ধবার্ষিক এই সম্মেলনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) কর্মকর্তারা কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে শান্তি বজায় রাখার অঙ্গীকার করেন। বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জাহিদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশসহ সীমান্তে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উপায় নিয়ে উভয় পক্ষে আলোচনা হয়। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তবে তারা কোনো হুমকি হয়ে ওঠেনি।

বিএসএফ মহাপরিদর্শক (ত্রিপুরা সীমান্ত) এইচ কে লোহিয়া দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছ থেকে হুমকি আসার আশঙ্কাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। জাহিদ হাসান বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা ও সক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশ ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে সামাল দিচ্ছে। তাদেরকে তাদের ক্যাম্পের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা পদ্ধতি বলবৎ রয়েছে।

এইচ কে লোহিয়া বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সংযোগ আছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। তবু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ, বহু রোহিঙ্গা শরণার্থী বিভিন্ন দেশে ঢুকে গেছে। ভারতেও ঢুকেছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের কথা বলার সময় লোহিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএসএফ মহাপরিদর্শক (মেঘালয়) লালতেন্দু মোহান্ত ও মহাপরিদর্শক (আসাম) এন এস জামওয়াল। সম্মেলনে উভয় পক্ষ জানায়, মানব পাচার ও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা দমনে বিজিবি ও বিএসএফের আন্তরিক সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।

রাজ্যসভায় রাজনাথ : ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বুধবার দিল্লিতে রাজ্যসভায় (সংসদের উচ্চকক্ষ) বলেন, অবৈধভাবে ভারতে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা চলবে।

সর্বশেষ খবর